অরিন্দম বাগ, মালদা: মালদা শহরের বুকে লাইসেন্স ছাড়াই চলছিল ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এমনকি ট্রেনি স্টাফদের দিয়েই চলছিল রক্তের পরীক্ষা। অবশেষে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিল করল ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম। শুধু তাই নয়, রোগীর আত্মীয়দের ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার একটি চক্রও সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের গোপন চুক্তির তত্ত্বও উঠে আসছে।
মালদা মেডিকেল কলেজে রেফার করা রোগীদের ভুল বুঝিয়ে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আরজিকর মেডিকেলের ঘটনার পর জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালীন এই চক্র আরও বেশি করে সজাগ হয়ে ওঠার চক্রের কথা তুলে ধরেছিল উত্তরবঙ্গ সংবাদ। আরও একবার সেই চক্রের সন্ধান মিলল। এবারে ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম এমনই একজন রোগীকে নার্সিংহোম থেকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেলে ভরতি করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গাজোলের এক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করেন। সেই মোতাবেক রোগীর পরিবার অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে রওয়ানা হয়েছিলেন। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স চালক ওই পরিবারকে উন্নত চিকিৎসা পরিসেবার নামে ভুল বুঝিয়ে মেডিকেলের বদলে ওই পরিবারকে গৌড়কন্যা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। অভিযোগ, প্রথমত সেখানে পাঁচ ঘণ্টা পর ওই রোগীকে অ্যাটেন্ড করা হয়। এমনকি দুদিন ধরে তেমন কোনও চিকিৎসা না করেই ১ লক্ষ টাকা বিল বানিয়ে ফের মেডিকেলে রেফার করা হয়। কিন্তু টাকা মেটাতে না পারায় ওই রোগীকে ছাড়া হচ্ছিল না। অবশেষে আজ ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম ওই রোগীকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেলে ভরতি করে।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই নার্সিংহোমকে শুনানির জন্য ডাকা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের জবাবের পরেই উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে জেলা প্রশাসন। সিল করা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।