বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: বাড়িতে ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ থানার প্রত্যন্ত গ্রামে। ওই তরুণীর চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার-পরিজনেরা। এরপর গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি মাথায় ইট দিয়ে থেঁতলে খুন করার চেষ্টা করে। খবর যায় ভাটোল ফাঁড়িতে। অভিযুক্ত তরুণকে উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়।
পরে ওই তরুণের পরিবারের সদস্যরা ভাটোল ফাঁড়ি থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে। আপাতত তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে শল্য বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার মাথায় ১৩টি সেলাই পড়েছে।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণের বাড়ি রায়গঞ্জ থানার বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে অভিযুক্ত তরুণ প্রতিবেশী গ্রামের এক তরুণীর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা গণধোলাই দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। খবর যায় ভাটোল ফাঁড়িতে। পুলিশ অভিযুক্ত ওই তরুণকে উদ্ধার করে ভাটোল ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে সেখান থেকে খবর পেয়ে অভিযুক্ত তরুণের পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে।
ঘটনার প্রসঙ্গে অভিযুক্ত তরুণের মা ভারতী বর্মন বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। গতকাল আমার মেয়ে তাকে বাড়িতে ডাকে। সেই কথামতো আমার ছেলে মেয়েটির বাড়িতে যায়। কিন্তু মেয়েটির বাড়ির লোকজন আমার ছেলেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার পাশাপাশি ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার চেষ্টা করে।’
ভাটোল ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘রক্তাক্ত গুরুতর ওই তরুণকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জখম তরুণ দেবরাজ বর্মনের দাবি, ‘আমার সঙ্গে ওই মেয়ের সম্পর্ক। আমার কাছে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। তবুও ওই মেয়ের পরিবারের সদস্যরা আমাকে মারধর করে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টা করে।’ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক সঞ্জয় শেঠ-এর বক্তব্য, ‘মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে। স্ক্যান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’