মালদা: সাহাপুর সেতু মোড়ে আমের ঝুঁড়ি নিয়ে বসেছিলেন কানাই মণ্ডল। শনিবার এক ক্রেতা হিমসাগর আম কিনে কানাইয়ের হাতে ২০০ টাকার কড়কড়ে নোট ধরিয়ে দিলেন। হাতে নোট নিয়ে উলটে-পালটে দেখছিলেন আম বিক্রেতা কানাই। বিস্মিত ক্রেতা বিজন সাহা বললেন, ‘আমটা ভালো না খারাপ দেখার কথা তো আমার। কিন্তু দেখছি নোট দেখছ তুমি।’ জবাবে শুনতে পেলেন, ‘আর বলবেন না। গতকাল কেউ একজন আম কিনে একটা ২০০ টাকার নোট দিয়েছিল। পরে বুঝতে পারি নোটটি জাল। ফের বিজনের প্রশ্ন, ‘এখন দুশো টাকাও জাল হচ্ছে?’ বাজারের রিপোর্ট, ৫০০ টাকার পাশাপাশি ২০০. ১০০ টাকা, এমনকি ৫০ টাকারও জাল নোট ঢুকে গিয়েছে মালদা শহরে।
বিষয়টি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার আগে জেলা পুলিশ সুপারকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বণিক মহল। শুধু কানাই মণ্ডলই নন, মালদা শহরের বাজারগুলির বহু বিক্রেতাই এমন অভিযোগ তুলেছেন। তবে সেই অভিযোগ যে শুধু কথার কথা নয় তা মেনে নিয়েছেন বণিক সংগঠনগুলির নেতারাও।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জাল নোটের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলছেন, ‘আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত ছোট-বড় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন। অনেকে ৫০, ১০০ টাকার জাল নোট এনে আমাদের দেখিয়েছেন। ব্যাংক থেকে নিয়ে আসা টাকার বান্ডিল থেকেও আসলের সঙ্গে জাল টাকা পাওয়া যাচ্ছে বলে আবার অনেক বড় ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। পুলিশ প্রায়শই জাল টাকার বিরুদ্ধে হানা দিয়ে সফল হচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই ব্যাংকগুলির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাল টাকা নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হোক।’ জাল নোটের কারবার বন্ধে তাঁদের তরফেও পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের জেলা সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু।