উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আর কিছুক্ষণ পরেই আলিপুরদুয়ারে জনসভায় যোগ দিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সিকিমে একটি কর্মসূচি সেরে দুপুর নাগাদ আলিপুরদুয়ারে পৌঁছনোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর সভা রয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথমে প্রশাসনিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মোদি। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলার জন্য ১০১০ কোটি টাকার ‘নগর গ্যাস সরবরাহ’ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। তারপরে যাবেন রাজনৈতিক সভার মঞ্চে। অপারেশন সিঁদুরের পর এটাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বঙ্গ সফর। একই সঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ১ বছর আগে এই সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
গতকালই প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একপ্রস্থ আক্রমণ শানিয়েছেন। ‘দুর্নীতি এবং প্রশাসন’ নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেন মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘আগামী কাল বিকালে আমি আলিপুরদুয়ারে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির একটি জনসভায় ভাষণ দেব। গত এক দশক ধরে এনডিএ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ প্রশংসা করেছে। তাঁরা তৃণমূলের দুর্নীতি এবং অপশাসনে ক্লান্ত।’ মোদির এই বক্তব্যের পালটা দিয়েছে তৃণমূলও। তৃণমূল ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লিখেছে, ‘পরিযায়ী পাখিরা বাংলায় তাদের মরশুমি ভ্রমণ শুরু করছে, তাই কেন এই সহজ প্রশ্নের জবাব দেবে না যে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন রাজ্যের ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা ন্যায্য পাওনা আটকে রেখেছে?’ ইংরেজি অক্ষরে ‘হ্যাশট্যাগ’ দিয়ে লেখা হয়েছে ‘আয়ে হো তো বতাকে যাও’ (এসেছেন যখন, বলে যান)। তৃণমূলের তরফে একটি পাখির ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যার গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। তাতে বিজেপির প্রতীক পদ্মফুলের ছবি আঁকা রয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ‘দূর্নীতি’ ও ‘অপশাসন’-এর অভিযোগে তৃণমূলের প্রতি আক্রমণের পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যকেও নিজের বক্তব্যে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, বহুদিন পর আলিপুরদুয়ারের মানুষ কোনও প্রধানমন্ত্রীকে পাচ্ছেন। তাঁরা যা প্রত্যাশা করছেন তার থেকে বহু মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেবেন। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক দিক থেকে আলিপুরদুয়ার বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সদ্য এই জেলার মাদারিহাট বিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। একসময়ে বিজেপির সাংসদ ও কেন্দ্রের মন্ত্রী জন বারলা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ফলে সাংগঠনিকভাবে শক্ত ঘাঁটিতে কিছুটা ব্যাকফুটেই রয়েছে পদ্মশিবির। সেদিক দিয়ে মোদির সভা বিজেপির পালে কতটা হাওয়া দিতে পারবে তা বলবে সময়।