মালদা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (HS Examination 2025) দ্বিতীয় দিনে ধুন্ধুমার কাণ্ড মালদা (Malda) জেলার বৈষ্ণবনগরে। ছাত্রদের মারে আহত হলেন ৬ জন শিক্ষক! শিক্ষকদের অপরাধ, তাঁরা পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে ছাত্রদের কাছে নকল আছে কিনা তার জন্য তল্লাশি করছিলেন। তাতেই রেগে অগ্নিশর্মা ছাত্ররা। ঘটনায় তুমুল অশান্তি বৈষ্ণবনগর থানার অধীন চামাগ্রাম হাইস্কুলে। পুরো ঘটনায় নিন্দার ঝড় সর্বত্র।
আজ উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষা। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে এদিনের পরীক্ষার জন্য। এমতাবস্থায় চামাগ্রাম হাইস্কুলে পরীক্ষা শুরুর আগে মেন গেটের সামনে মেটাল ডিটেক্টটার দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি চালাচ্ছিলেন শিক্ষকেরা (Lecturers)। তল্লাশি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় অধিকাংশ পরীক্ষার্থী। তাদের দাবি, শিক্ষকেরা বলেছিলেন ব্যাগের চেন খোলো, তারপর জামা-প্যান্ট সার্চ করা শুরু করে। ব্যাগ অবধি ঠিক ছিল, কিন্তু জামা-প্যান্ট কেন? সে কারণেই তারা আপত্তি দেখায়। উলটে শিক্ষকদের দাবি, মেটাল ডিক্টেটার হাতে দেখেই সমস্যা শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। বাধা দেয় তল্লাশিতে। এই নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বেধে যায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। ৬ শিক্ষককে বেধড়ক মারে পরীক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সামাল দেয় পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে মানিকচকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে বাইরে থেকে দেদার নকল সরবরাহের অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে থানায় আবেদন করে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর পর দেখা গিয়েছিল, কয়েকজন যুবককে প্রাচীরের উপরে উঠে ক্লাসঘরের জানলা লক্ষ্য করে কাগজ ছোঁড়ে। ঘটনাটি দেখে পুলিশ বাধা দিতে এলে, বাইরে জড়ো হয়ে থাকা একাংশ ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় র্যাফ। পৌঁছে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। পাল্টা লাঠিও চালায় পুলিশ। কয়েকজন যুবককে মাঠের মধ্যেই কান ধরে ওঠবস করায় পুলিশ কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৮ জনকে।