দুবাই: প্রথম দুই ম্যাচে ঝোলায় ৭ শিকার। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে চার উইকেট। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন। আজ দুর্বল ওমানের বিরুদ্ধে গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে খেলতে নামার আগে কুলদীপ যাদবের সামনে বড় নজিরের হাতছানি। আর চার উইকেট নিলে কুলদীপ (১৩ ম্যাচে ২৬) এশিয়া কাপে ভারতীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়বেন। পিছনে ফেলবেন রবীন্দ্র জাদেজাকে (২৬ ম্যাচে ২৯)।
পরিসংখ্যান ছাপিয়ে ‘আনপ্লেয়বল’ হয়ে ওঠা। পাক ম্যাচে কুলদীপের স্পিনে মজে স্বয়ং ওয়াসিম আক্রাম। জানিয়েছিলেন, কুলদীপকে পড়তেই পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। রবিবার সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও এক মহারণ। যে মহারণে ফের সবার চোখ কুলদীপের ওপর।
শুক্রবার ওমানের বিরুদ্ধে নামার আগে কুলদীপের ভাবনায় রবিবারের পাক-দ্বৈরথ। জানিয়ে দিলেন ছক প্রস্তুত। ভারতের রিস্ট স্পিনারের কথায়, হাতে যখন বল থাকে, তখন লক্ষ্য থাকে সামনের ব্যাটারকে বোকা বানিয়ে দ্রুত সাজঘরে পাঠানো। আর অন্য কিছু মাথায় রাখেন না। পাকিস্তান ম্যাচেও বরাবর একই মানসিকতা, পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামেন। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
গত কয়েক সিরিজে দলে অনিয়মিত। ইংল্যান্ড সফরে পাঁচ টেস্টেই রিজার্ভ বেঞ্চে কাটাতে হয়েছে। চলতি এশিয়া কাপে যেন তারই জবাব দিচ্ছেন। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কুলদীপ বলেছেন, ‘ছন্দে আছি। শুরুর দিকে কিছু সমস্যা হলেও এই মুহূর্তে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে। উইকেট স্পিনারদের জন্য আদর্শ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চেয়েও ভালো। যার সুযোগ হাতছাড়ায় রাজি নই।’
লম্বা বিরতির পর ফেরা চ্যালেঞ্জ। কুলদীপের মতে, ছন্দে থাকতে নিয়মিত খেলা জরুরি। দলে অনিয়মিত হলে ছন্দে ব্যাঘাত ঘটে। তবে সব অভিজ্ঞতা নতুন কিছু শেখায়। তিনিও শিখছেন। কুলদীপের মতে, দলীপ ট্রফি ভালো যায়নি। তবে লম্বা সময় বোলিং করা তাঁকে ছন্দে ফিরতে সাহায্য করেছে।
ইংল্যান্ড সফরে ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে অলরাউন্ডারে জোর দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীররা। ফলে প্রথম এগারোয় জায়গা হয়নি। বিষয়টাকে কুলদীপ ইতিবাচক হিসেবেই নিচ্ছেন। স্পিন তারকার মতে, বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে জোর দিতে হবে, টিম ম্যানেজমেন্টের থেকে যে পরিষ্কার বার্তা পেয়েছিলেন। চেষ্টা করছেন সেই দাবি মেটাতে। মূল কাজ উইকেট নেওয়া। পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং অবদান রাখতে পরিশ্রম করছেন।