কোচবিহার: ডোডেয়ারহাটে শুটআউটের ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ (Cooch Behar Shootout Case)। সেই সঙ্গে খুনের সময় সুপারি কিলাররা যে মোটরবাইক ব্যবহার করে হাটে এসেছিল সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে পার্শ্ববর্তী আলিপুরদুয়ার জেলার তপসিখাতা থেকে বাধন দাস (২৯) ও মিঠুন রায়কে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকেই মোটরবাইকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রবিবার কোচবিহার পুলিশ লাইনে সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, পুরোনো শত্রুতার জেরেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল। এই ঘটনায় আর কারা যুক্ত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় ব্যবহার করা একটি পিস্তলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট ডোডেয়ারহাটে বন্ধুদের সঙ্গে মাংস কিনতে এসে প্রকাশ্যে শুটআউটের ঘটনায় নিহত হন তৃণমূলের যুব নেতা অমর রায়। তিনি ডাওয়াগুড়ির প্রধানের ছেলে। এই খুনের ঘটনায় গত ১৭ অগাস্ট অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায় নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। এরপর ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশের (Pundibari Police) একটি বিশেষ দল অরুণাচল প্রদেশে পৌঁছায়। সেখান থেকে গত ২১ অগাস্ট রাতে নারায়ণ বর্মন ওরফে বিশাল (২০) এবং কিশোর বর্মন ওরফে ভোগী (২৪) নামে দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বাড়ি পুন্ডিবাড়ি থানার মরা নদীরকুঠি এলাকায়। তাদেরকে হেপাজতে নিয়ে শনিবার রাতে মরা নদীরকুঠি এলাকা থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও চারটি কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।