সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: ‘এক ফুল, দো মালি’। একেবারে ছবির পর্দার রগরগে প্লট। স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথাবার্তা চলে প্রাক্তন প্রেমিকার। আর তার জেরে নিজের স্বামী বেদখল হতে পারে এই সন্দেহেই বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রেমিকাকে বেধড়ক মারধর করল স্ত্রী। বালুরঘাট কলেজে পরীক্ষা দিতে আসা ২ পরীক্ষার্থীর এমন মারামারির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
তিনিও এই গোলমালে জড়িয়ে পড়লে মারামারির ঝাঁঝ আরও বেড়ে যায়। বালুরঘাট কলেজের সামনে পরীক্ষা আর ডিউটিতে আসা পুলিশকর্মীরা ওই মহিলাদের মারামারি আটকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আঁচড়, রক্তের দাগ নিয়ে এদিন দুপক্ষই বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের একটি মহিলা কলেজের দুই ছাত্রী আদতে একসময় ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। মামার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা এক ছাত্রীর সঙ্গে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক হয়। তবে মাস কয়েক আগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তারই বান্ধবীকে আচমকা বিয়ে করেছে ওই তরুণ। এরপর থেকেই দুই বান্ধবীর মধ্যে সম্পর্ক কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তবে স্বামীর সঙ্গে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা এখনও সম্পর্ক রেখে চলেছে বলে সন্দেহ হয় ওই গৃহবধূ ছাত্রীর।
বৃহস্পতিবার বালুরঘাট কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন দুই ছাত্রী। পরীক্ষা শেষে কলেজ গেটে মুখোমুখি দেখা হতেই বচসা শুরু হয়ে যায় দুজনের। আর এরপরে হাতাহাতি ও চুলোচুলির জেরে শুরু হয় গোলমাল। ওই বিবাহিত ছাত্রীটি তাঁর স্বামীকে এবং অবিবাহিত ছাত্রীটি তাঁর মাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলে। পরে অবিবাহিত ছাত্রীর মা এসে মারামারিতে যোগ দেন। বালুরঘাট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে গণ্ডগোল থামানো হয়। আইসি সুমন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
বিবাহিত ছাত্রীটি জানিয়েছে, ‘ওরাই মা-মেয়ে আমাকে মেরেছে।’