পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর: দিল্লির কুচকাওয়াজে অংশ নিতে চলেছে বালুরঘাটের (Balurghat) প্রত্যন্ত গ্রামের কলেজ পড়ুয়া শ্রাবণী মাহাতো। সে ৭ বেঙ্গল এনসিসি ক্যাডেট। বালুরঘাট কলেজের তৃতীয়বর্ষের শ্রাবণী জেলার একমাত্র তরুণী, যাকে ২৬ জানুয়ারি দিল্লির কুচকাওয়াজে দেখা যাবে।
গঙ্গারামপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের এনসিসি ক্যাডেট অনিমেষ হাঁসদাও এই সুযোগ পেল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের এনসিসি ক্যাডেটদের সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই দুই পড়ুয়ার অংশগ্রহণে খুশির জোয়ারে ভাসছে জেলাবাসী।
পশ্চিমবঙ্গের প্রান্তিক জেলা দক্ষিণ দিনাজপুর। ছোট জেলা হলেও আনাচে-কানাচে একাধিক প্রতিভাবান ছড়িয়ে রয়েছে। জেলার দুই পড়ুয়া দিল্লিতে এনসিসির রাজ্য ডিরেক্টরেটের প্রতিনিধিত্ব করবে। এনসিসিতে তাদের দক্ষতা, কৌশল ও প্রতিভা বিবেচনা করেই এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে গ্রুপ পর্যায়ে, তারপরে ডিরেক্টরেট পর্যায়ের নির্বাচন প্রক্রিয়ার পরেই দিল্লিতে প্যারেডের সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছে তাঁরা। প্রথমে দার্জিলিং, পরে শিলিগুড়ি ও সর্বশেষ কল্যাণীতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা এনসিসি ক্যাডেটদের মধ্যে থেকে চূড়ান্ত পর্বে শ্রাবণী ও অনিমেষ নির্বাচিত হয়। গত নভেম্বর থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণ চলেছে কল্যাণীতে। গত মাসেই তাঁরা দিল্লি পৌঁছায়। সেখানে এনসিসির ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিপি সিংয়ের সঙ্গে তাঁরাদেখা করেন। এখন শেষ পর্যায়ের অনুশীলন চলছে।
পাগলিগঞ্জের ফরিদপুর থেকে পড়াশোনা সহ এনসিসির জন্য বালুরঘাট কলেজে যাতায়াত করতে হয় শ্রাবণীকে। সে বলে, ‘২৭ ডিসেম্বর দিল্লি পৌঁছেছি। সেখানে প্রায় এক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ক্যাডেটদের সঙ্গে অনুশীলন চলছে।’ দিল্লির রাজপথে প্যারেডের সুযোগ পাওয়ায় সকলে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পরিবারের পূর্ণ সমর্থনে ও এনসিসি স্যরদের তত্ত্বাবধানে এই জায়গায় পৌঁছেছি। আগামীতে সেনায় যোগদানের ইচ্ছে রয়েছে।’ অনিমেষকে একাধিকবার ফোন করার পরেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
৭ বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের কমান্ডার কর্নেল পিডি গ্যাটসো জানান, ‘এনসিসি-এর বিভিন্ন শিবির আয়োজিত হয়। যেখানে ভালো দক্ষতার ছেলেমেয়েদের আমরা তুলে আনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এই দু’জনের ভালো ড্রিল আমাদের নজরে পড়ে। তাঁদের বেছে নিয়ে গ্রুপ হেডকোয়ার্টারের কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তারপরে বিভিন্ন স্তর পেরিয়ে তাঁরা দিল্লির রাজপথে প্যারেডের সুযোগ পেয়েছে।’