বালুরঘাট: বালুরঘাট কলেজে ছাত্রছাত্রীদের থেকে ২০০ টাকা করে ইউনিয়ন ফি নিয়ে মোচ্ছব করছে তৃণমূল! এমনই অভিযোগে সোমবার বালুরঘাট কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই। কলেজ চত্বরের ভেতরেই বাক বিতন্ডায় জড়াতে দেখা গেল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই নেতাদের।
এদিন ইউনিয়ন ফি, অডিট এবং ইউনিয়নের স্বচ্ছতা এই তিন দাবিকে সামনে রেখে এসএফআইয়ের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় কলেজ চত্বরে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সকল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অনৈতিকভাবে ২০০ টাকা করে ইউনিয়ন ফি নেওয়া হয়। যা দিয়ে কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং তা দিয়ে মোচ্ছব করেছে তৃণমূল। এমনকি তাঁদের কাছে কলেজ ইউনিয়নের দুর্নীতির তালিকা রয়েছে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে।
এদিন বালুরঘাট কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হন এসএফআই-এর লোকাল সেক্রেটারি অমন দাস সহ একাধিক নেতৃত্ব। কিন্তু বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন আচমকাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলেজ চত্বরে। এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের মধ্যে শুরু হয় তীব্র বাকবিতণ্ডা। যা মুহূর্তের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে বদলে যায়। টিএমসিপি-র অভিযোগ, কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন দলবল নিয়ে এসে এসএফআই ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। তারই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নামে। ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশবাহিনী কলেজ গেটের সামনে মোতায়েন করা হয়। পুলিশি টহল ও হস্তক্ষেপে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
এই প্রসঙ্গে এসএফআই নেতা অমন দাস বলেন,’কলেজে ইউনিয়ন ফি-র নামে ২০০ টাকা করে তোলা হচ্ছে। যেখানে ইউনিয়ন নেই সেখানে কীসের ফি? আমরা এর বিরুদ্ধে এদিন কথা বলতে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে তৃণমূল। এমনকি ধাক্কা দিয়ে আমদের বাইরে বের করে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কী খাওয়া হয়েছে, কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয়েছে, কোন গাড়ি চড়া হয়েছে সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। পড়ুয়াদের থেকে তোলা আদায় করা যাবে না।বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষকেও পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি।’
কলেজের টিএমসিপি কর্মী পুষ্কর দাস বলেন, ‘কলেজে পরীক্ষা চলছে। প্রচুর ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। এই সময় এসএফআই দলবল নিয়ে এসে পরীক্ষা বানচাল করার চেষ্টা করেছে। তাঁরা ছাত্র ছাত্রীদের ভয় দেখাচ্ছিল। আমরা তা রুখে দিয়েছি।’