উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ২ ঘন্টা পর বোলপুরের এসডিপিও দপ্তর থেকে বেরিয়ে গেলেন বীরভূমের তৃণমূলনেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondol)। এদিন হাজিরাপর্বে সাংবাদিকদের থেকে নিজেকে আড়াল করার মরিয়া চেষ্টা করেন অনুব্রত। সাধারণভাবে তিনি যেই গাড়িতে চড়েন সেই গাড়িতে এদিন আসেননি। কালো এইউভিতে করে এসে নামেন এসডিপিও অফিসে। ঢোকেনও পেছনের দরজা দিয়ে। যদিও ২ ঘন্টা পর যখন বের হন তখন সামনে দরজা দিয়েই বেরহতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এদিন অনুব্রতর সঙ্গে কোনও পুলিশ পাইলট বা প্রহরা ছিল না। নিরাপত্তা ছাড়াই হাজিরা দিতে এসেছিলেন তিনি। এসডিপিও অফিস থেকে বের হয়ে সরাসরি চলে যান বোলপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসে। তবে এদিন সকলের নজর ছিল অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হন কিনা। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কিনা তাও জানা যায়নি। এদিন অনুব্রতর হাজিরা ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় এসডিপিও অফিস চত্বর। রাজ্য পুলিশের RAF থেকে শুরু করে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য ৭ দিন আগে অনুব্রত এবং বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের কথোপকথনের একটি ‘অডিয়ো ক্লিপ’ গত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অনুব্রত মণ্ডল আইসিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বলে শোনা যায়। যদিও ওই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাঁকে শনিবার এসডিপিও-র (বোলপুর) দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠায়। সেই দিন না-যাওয়ায় তাঁকে দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়ে রবিবার বেলা ১১টায় ফের ওই দফতরেই ডাকা হয়। কিন্তু রবিবারও হাজিরা দেননি অনুব্রত। বদলে তাঁর আইনজীবীরা মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে জানান, অনুব্রত মণ্ডল অসুস্থ, তাঁর ৫ দিন বেডরেস্ট প্রয়োজন। যদিও তারপরও প্রকাশ্যে রক্ষী সমেত ঘুরতে দেখা গিয়েছে অনুব্রতকে। এদিন অনুব্রতর বেড রেস্টের ৫ দিন শেষ হয়েছে। তাই এদিন এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে দাবি, অনুব্রতের মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের দু’টি ফোনও। আইসি লিটনের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।