উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আমেরিকার তরফে ভারতকে দেওয়া আর্থিক অনুদান বন্ধের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। আর এই আবহে আমেরিকার এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ভোটারদের বুথমুখী করতে ভারতকে কোনও অনুদানই দেয়নি আমেরিকা। বরং ট্রাম্প ভারতকে যে অর্থ অনুদান দেওয়ার কথা বলছেন, সেই অনুদান দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। এই একই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমও।
আমেরিকান সংবাদপত্রের প্রতিবেদনটিতে আমেরিকার ৩ জন আধিকারিকের বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে যারা বিভিন্ন দেশকে দেওয়া মার্কিন অনুদান সম্পর্কিত কাজের সঙ্গে যুক্ত। এরা ৩ জনেই নাকি জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ভারতকে অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই। অন্য দেশকে দেওয়া অনুদানের সঙ্গে ভারতের নাম ‘গুলিয়ে’ ফেলার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন এক আধিকারিক।
আর এই নতুন রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেড়া(Pawan Khera) শনিবার বলেন, “এ বার বিজেপি এবং তাদের অন্ধ সমর্থকদের নিজেদের বলা কথাই গিলতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে বিজেপি দাবি করেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হারাতে বৈদেশিক সাহায্য নিয়েছে কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল যখন ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি ঘোষণা করে যে, ভোটের হার বৃদ্ধি করতে ভারতকে দেওয়া প্রায় ১৮২ কোটি টাকার অনুদান বন্ধ করতে চলেছে তারা। এই খরচের যৌক্তিকতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন ট্রাম্পও। যদিও আমেরিকার ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, ওই ১৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, ওই ১৮২ কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ১১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।