উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডও স্বাভাবিক জীবনযাপন কিছুটা স্তব্ধ করে দেয়। ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হতে থাকে। তখন প্রস্রাবের সমস্যা, গাঁটে গাঁটে ব্যথা শুরু হয়। ইউরিক অ্যাসিডের (Uric acid) মাত্রা বাড়লে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও বাড়ে। ইউরিক অ্যাসিড বা কিডনির সমস্যা মানেই একগাদা ওষুধ ও পথ্যের নিয়মে জীবনকে বেঁধে ফেলা। অথচ রোজ যদি কিছু সহজ আসন অভ্যাস করা যায়, তা হলে ইউরিক অ্যাসিডের(Uric acid)ঝুঁকি যেমন কমবে, তেমনই ভাল থাকবে কিডনিও।
অর্ধমৎস্যেন্দ্রাসন
দু’পা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এ বার বাঁ পা ডান পায়ের ঊরুর নীচে রাখুন। যে পা রেখেছেন, তার উল্টো দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে রাখুন। একটি হাতে সামনের পায়ের পাতা স্পর্শ করে থাকবেন। আর অন্য হাতটি ঘুরিয়ে রাখবেন কোমরে। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থেকে আগের অবস্থানে ফিরে আসতে হবে। নিয়মিত অভ্যাসে শরীর ‘ডিটক্স’ হবে, কিডনি ভাল থাকবে।
ত্রিকোণাসন
দুই পায়ের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান রেখে দাঁড়ান। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু ভাঙা চলবে না। শরীর টানটান থাকবে। এই ভাবে দশ অবধি গুনুন। তার পর হাত বদলে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।
বিপরীত করণী
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার দু’পা একত্রে সোজা করে মাটি থেকে ওপরে তুলতে চেষ্টা করুন। হাতে ভর দিয়ে কোমর ধীরে ধীরে উপর দিকে তুলতে চেষ্টা করুন। শরীরের অবস্থান অনেকটা সর্বাঙ্গাসনের মতো। কিন্তু বিপরীত করণীতে পায়ের অবস্থান ৯০ ডিগ্রিতে থাকে না। বরং মাথার দিকে সামান্য হেলিয়ে রাখাই রীতি। শুরুতে দেওয়ালে ভর দিয়ে করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে কোমর থেকে পা উপর দিকে তুলে দেওয়ালে রাখতে হবে। এই আসন ১ মিনিট থেকে শুরু করে ৫ মিনিট পর্যন্ত অভ্যাস করা যেতে পারে।