উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে কর্মীসভা থেকে রাজ্যে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের বিউগল বাজিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ কে হাতিয়ার করে শায়ের দাবি, বাংলার মা বোনেরা আগামী নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিঁদুরের অপমান করার মূল্য বুঝিয়ে দেবেন। পাশাপাশি বহু পরিচিত অনুপ্রবেশ অস্ত্রেও বিঁধেছেন তৃণমূলকে। রবিবার নেতাজি ইনডোর থেকে শা বলেন, ‘তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আশীর্বাদে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। আপনারাই বলুন, অনুপ্রবেশ আটকানো উচিত কি উচিত নয়? দিদি কি আটকাতে পারবেন?’
শা’য়ের এহেন মন্তব্যের পালটা দিতে দেরি করেনি তৃণমূল (Tmc)। দলের তরফে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharjee) সাংবাদিক বৈঠক করে শায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তৃণমূলের দাবি, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা ও অনুপ্রবেশ দুই কেন্দ্রের ব্যর্থতা। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই পদত্যাগ করা উচিত। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যে অনুপ্রবেশের কথা বলেছেন। এটা রক্ষা করার দায়িত্ব কার? বিএসএফ কার দায়িত্বে রয়েছে। আপনি নিজের ব্যর্থতাটাকে প্রমাণ করে দিচ্ছেন। আপনি ব্যর্থ। আপনার পদত্যাগ করা উচিত।’ পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে চন্দ্রিমার দাবি, ২২ এপ্রিল বৈসরন উপত্যাকায় পর্যটকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ তো কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। আপনাদের গাফিলতিতে ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। কেন? এর উত্তর দেবে কে? যারা জঙ্গি হামলা করেছিল, তাদের ধরা গিয়েছে?’ অপারেশন সিঁদুর নিয়ে তৃণমূল যে রাজনীতির বিরোধী তা এদিন আবার বলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের স্বার্থে এক সুরে কথা বলছেন, সেখানে সেই সময়েই সিঁদুর প্রসঙ্গে নারী সম্মান নিয়ে খেলা করছেন?’ সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের হয়ে অভিষেকের বিদেশ সফরের সময় সুকান্ত মজুমদার অপারেশন বেঙ্গলের কথা বলায় এদিন এক হাত নেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। সাগরিকা বলেন, ‘সুকান্ত মজুমদার অপারেশন বেঙ্গলের কথা বলে বিভাজনের রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন। এতে বাংলায় কোনও লাভ হবে না।’