ডোমকল: উলটপুরান! এবার বিরোধী কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে টেন্ডার দুর্নীতি সহ একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় শোরগোল ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল মহকুমার অন্তর্গত সাহেবনগর এলাকায়। দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জলঙ্গীর বিডিও সুব্রত মল্লিক। তিনি বলেন,”এক্ষেত্রে পুরো বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
জানা গেছে, অভিযুক্ত কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানের নাম মুজিবুর রহমান বিশ্বাস। তৃণমূল সহ খোদ কংগ্রেসের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েতে টেন্ডারের ক্ষেত্রে একই এজেন্সিকে এক জায়গায় কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেওয়া হলেও অন্য জায়গায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রধানের তরফে। এখানেই শেষ নয় আরও অভিযোগ, প্রধান পুরোপুরি অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন।
এদিকে এই ঘটনার পরই বেশকিছু পঞ্চায়েতের সদস্য একজোট হয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন কংগ্রেসের ওই প্রধানের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য আলি হাসান বলেন, “একজন কংগ্রেস সদস্য হয়ে বলছি, প্রধান পুরোপুরি স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে কাজ করেন। কারও কথা শুনতে চান না। প্রধান টেন্ডার নিয়ে একাধিক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করেছেন। ওইসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”
এদিকে যাকে নিয়ে এত কথা সেই অভিযুক্ত কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান পঞ্চায়েত প্রধান মজিবুর রহমান বিশ্বাসের সাফাই, “টেন্ডার সংস্থাকে প্রযুক্তিগত মূল্যায়ণের বিষয়টা পুরোপুরি ভাবে দেখেন পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক। পঞ্চায়েতের নিয়ম অনুসারে, এজেন্সির সঠিক কাগজ না থাকলে সেটি বাতিল হবে, এটাই নিয়ম। তাই করা হয়েছে। আর একটি টেন্ডারে একটি এজেন্সি গ্রহণযোগ্য হয়েছে মানেই যে সেই এজেন্সি পরের টেন্ডারেও গ্রহণযোগ্য হবে, তা নাও হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও কাগজসহ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হবে। যারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার ব্যবস্থা নেব”।
একই সঙ্গে পঞ্চায়েতে বিরোধী আসনে থাকা তৃণমূলের দলনেতা জাহির শেখ বলেন, “এই প্রধান এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে সে বিরোধী দলনেতা তো দূরের কথা খোদ নিজের দলের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গেই কোনও রকম আলাপ-আলোচনা করতে চান না কাজের ক্ষেত্রে। এই ধরনের পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কার করা প্রয়োজন দুর্নীতি রোখার জন্য।”