উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম নির্দেশে (Supreme Court docket) যখন ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়, তখন সেই তালিকায় ছিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা সুবল সোরেন। হকের চাকরি ফিরে পেতে তাঁকে দেখা গিয়েছে আন্দোলনেও। কিন্তু আজও মেলেনি চাকরি। শুক্রবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হল সুবল সোরেনের। বছর ৩৫ এর এই শিক্ষক ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে (Hospital) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
জানা গেছে, স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় এক ভাড়া বাড়িতে থাকতেন সুবল। গত ১১ অগাস্ট ভাড়া বাড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে থেকে তাঁকে রেফার করা হয় কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
এদিকে পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুবলের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা ছিল। চাকরি হারানোর পর থেকে নিয়মিত ওষুধ খেতেন না। কীভাবে সংসার চালাবেন এই ভেবে দিনরাত এক করতেন। এই চিন্তার কারণেই গত সোমবার বাড়িতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর সব শেষ।
ঘটনার পর চাকরিহারা শিক্ষকরা একে একে এসে পৌঁছেচ্ছেন হাসপাতালে। তাঁদের দাবি, আবার নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার চাপ নিতে পারেননি সুবল। সেই থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘সরকার, বিচারব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র চক্রান্ত করে হত্যা করেছে সুবলকে। আজকের স্বাধীনতা দিবসে আমরাই পরাধীন।’