উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সোদপুরের তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনায় (Sodepur Incident) এখনও পলাতক অভিযুক্ত শ্বেতা খান। তার ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার সকালে হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়ায় শ্বেতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এদিন শ্বেতার মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এদিকে শ্বেতার তিন বছরের ছোট মেয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে কলকাতায় (Kolkata)। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর তিনেকের মেয়েকে এক পরিচিতের কাছে রেখে কোথাও গা-ঢাকা দিয়েছে শ্বেতা।
সোদপুরে তরুণী নিগ্রহের ঘটনায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। শ্বেতার বিরুদ্ধে পর্ন ভিডিও তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এমনকি, প্রভাবশালীদের সঙ্গেও শ্বেতার যোগাযোগের খবর মেলে। তদন্তের স্বার্থে তাদের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো জরুরি ছিল। ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর জন্য মঙ্গলবার আদালতের অনুমতি পায় পুলিশ। ওই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও যৌন নির্যাতন চালানো হত বলে অভিযোগ। এদিন ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শ্বেতার মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, সোদপুরে এক তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের বিষয় থেকে ঘটনার সূত্রপাত। ওই তরুণীকে শ্বেতা এবং তার ছেলে আরিয়ান অত্যাচার করত বলে অভিযোগ ছিল। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীদের ডেকে তাঁদের দিয়ে পর্ন ভিডিও’র ব্যবসা করা হত বলে অভিযোগ। শ্বেতার দু’টি বিয়ে। প্রথম পক্ষের এক ছেলে আরিয়ান এবং কন্যা ঈশিকা। মেয়ে কিছুদিন আগে মারা গিয়েছেন। শ্বেতার প্রাক্তন স্বামীর অভিযোগ, মায়ের জন্যই আত্মহত্যা করেছে মেয়ে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় পক্ষের এক কন্যাসন্তান। তবে স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোদপুরের তরুণীকে নির্যাতনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। চিঠিতে জানানো হয়েছে, তিনদিনের মধ্যে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ জমা দিতে হবে।