Siliguri | জমি-বাড়ি লিখে দিতে আপত্তি, জীবিত মায়ের শ্রাদ্ধ দুই ছেলের 

Siliguri | জমি-বাড়ি লিখে দিতে আপত্তি, জীবিত মায়ের শ্রাদ্ধ দুই ছেলের 

শিক্ষা
Spread the love


সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: জমি ছেলেদের নামে লিখে দিতে মা আপত্তি করেছিলেন। অভিযোগ, সেই আপত্তির কারণে মা’কে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলেন দুই ছেলে এবং তাঁদের স্ত্রীরা।

এমনকি সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে জীবিত মায়ের শ্রাদ্ধশান্তিও করেছেন দুই ছেলে। এমনটাই অভিযোগ মায়ের। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি (Siliguri) এসডিও আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে এমনই আক্ষেপের কথা জানান শিবমন্দির সংলগ্ন কদমতলা ইন্দিরাপল্লির বাসিন্দা বছর ৬৪-র হীরণ রায়।

ইতিমধ্যে মহিলা তাঁর ছেলেদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাড়িতে ঢুকতে না পেরে মহিলা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে দাবি তাঁর। প্রবীণ নাগরিক হয়ে বিচার চেয়ে তিনি এসডিও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও মায়ের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন ছেলেরা। ওই বৃদ্ধা বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে স্ব-ইচ্ছায় বেরিয়ে গিয়েছে বলেও ছেলেদের দাবি।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি হীরণ রায়ের স্বামী ভবেশ রায় স্ত্রীর নামে ছয় কাঠা জমি সহ বাড়িটি লিখে দেন। অভিযোগ, এরপর থেকে সেই জমিটি নিজের নামে করতে চেয়ে ছেলেরা হীরণের উপর চাপ দিতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে মহিলার ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে তিনি ২৫ ফেব্রুয়ারি মাটিগাড়া থানাতে ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হীরণের কথায়, ‘ছেলেরা বাড়িঘর বিক্রি করে দিতে চায়। আমি তা হতে দিতে চাই না। আমায় রড দিয়ে মেরেছে। মুখ চেপে ধরেছে। শেষ পর্যন্ত না পেরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।’ মহিলার আরও অভিযোগ, ‘জীবিত থাকা অবস্থায় বড় ও মেজো ছেলে আমার নামে শ্রাদ্ধ করেছে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুড়ে বেড়াচ্ছি। মানুষ যা খেতে দিচ্ছে তাই খাচ্ছি। বাড়িতে ফিরে শান্তিতে থাকতে চাই।’

অন্যদিকে, এদিন হীরণের স্বামী ভবেশ রায়কে নিয়ে তাঁর ছেলে ও তাঁদের স্ত্রীরা এদিন আদালতে আসেন। সেখানে ভবেশ বলেন, ‘স্ত্রী যা বলছে তা পুরোপুরি ঠিক না।’ এদিন মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।

মহিলার বড় ছেলে রঞ্জিত রায় বলেন, ‘বাবাকে ভুল বুঝিয়ে মা জমিটি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে বাবাকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিতেন মা। কে মাকে পেছন থেকে মদত দিচ্ছে, জানি না। তবে আমরা বিয়ে করার পর থেকে মা পরিবারে সমস্যা তৈরি করেছেন। ঝামেলা লাগত মাঝেমধ্যে।’

যদিও বৃদ্ধার আইনজীবী বিশ্বজিৎ মৈত্রের কথায়, ‘আমরা এমন ঘটনায় স্তম্ভিত। মহিলাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতেই মামলাটি লড়ছি।’ অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সুশান্ত নিয়োগীর বক্তব্য, ‘বৃদ্ধার অভিযোগ সঠিক নয়। ছেলেরা চেয়েছেন মহিলাকে বাড়ি নিয়ে যেতে। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরতে চাইছেন না। জমিটি মহিলা স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *