উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ক্ষমা নয়, গ্রেপ্তার করতে হবে অনুব্রতকে,’ হুঙ্কার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (BJP Chief Shuvendu Adhikari)। বোলপুর থানার আইসি লিটন (IC Liton Das) হালদারকে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অনুব্রত। তাঁর এহেন কর্মকাণ্ড ভালো চোখে দেখেনি তৃণমূল। আগামী ৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে কেষ্টকে, নির্দেশ দলের। নির্দেশ না মানলে শোকজ করা হবে ‘বীরভূমের বাঘ’কে।
ভাইরাল অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল (TMC) যে পুলিশকে তাদের দলদাসে পরিণত করেছে, এ ঘটনা তারই প্রমাণ। যে অফিসার ওদের কথা মতো চলেন না, তাঁকেই এভাবে গালিগালাজ করা হয়। তাই ক্ষমা চাওয়ার ন্যাকামি নয়, কেষ্টকে গ্রেপ্তার করুক পুলিশ।’ ইতিমধ্যেই আইসি লিটন দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনএস আইনের ২২৪, ১৩২, ৩৫১ ও ৭৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে এদিন দুপুরে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়, আগামী ৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাইতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে দল তাঁকে শোকজ করবে। অন্যদিকে, বোলপুর কাণ্ডের পর অনুব্রতর নিরাপত্তা কমিয়ে দিয়েছে পুলিশ (Police)।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায় বীরভূম জেলার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে কদর্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। শুধু তাই নয়, তাঁর মা-স্ত্রীকেও চূড়ান্ত নোংরা ভাষায় গালমন্দ করেন কেষ্ট। (অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র নিন্দা করেন সুকান্ত মজুমদার (MP Sukanta Majumdar) এবং বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা। এখন আবার একধাপ এগিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত। এখন দেখার কেষ্টকে নিয়ে আগামীতে কী পদক্ষেপ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।