কালিয়াচক: ২ নং ব্লকের গঙ্গার ধারে অবৈধ মাটি কাটার কাজ ক্রমশ বাড়ছে। নদী ধার বরাবর যত্রতত্র রয়্যালটি না দিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটছে মাটি মাফিয়ারা। বারবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেও কোনও ফল হচ্ছে না। ফলে গঙ্গার ভাঙন হওয়ার সম্ভাবনা যেমন ক্রমশই বাড়ছে তেমনি এলাকায় ফসলি জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় স্থানীয় জনমানসে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার মানুষের অভিযোগ, বিএলআরও এবং পুলিশের একাংশের প্রচ্ছন্ন মদতে এই কাজ হচ্ছে। যদিও মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ধারাবাহিকভাবে এই মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত বেআইনি গাড়ি ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে হামিদপুর চর এলাকার যুগলতলা, বাঙ্গীটোলা, পঞ্চানন্দপুর – সর্বত্রই গঙ্গার পাড়ে নদীর ধার থেকে অবৈধভাবে ও বেআইনিভাবে মাটি কাটছে।
রবিবার মাটি কাটা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ট্রাক মালিকদের বচসা হয়। শনিবার বাঙ্গীটোলায় মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। মোথাবাড়ির ভূমিকর্তা অংশুমান চক্রবর্তী জানিয়েছেন. ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা স্পট ফাইন করছি। এর সঙ্গে দপ্তরের কোনও কর্মী যুক্ত নয়।’
গঙ্গা ভাঙন নাগরিক অ্যাকশন কমিটির কর্ণধার তরিকুল ইসলাম জানান, ‘এলাকায় মাটির প্রয়োজন আছে। রাস্তাঘাট বা যে কোনও উন্নয়নে মাটির প্রয়োজন। মাটি বিক্রির একটা চোরাচক্র গড়ে উঠেছে। প্রশাসন নদীর মাঝে গড়ে ওঠা ছোট ছোট চরের মাটি কেটে বিক্রির দায়িত্ব নিলে গঙ্গার ভাঙন রোধ হবে। মানুষের প্রয়োজনও মিটবে।’