উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তরের জঙ্গলে বাড়ল গন্ডারের সংখ্যা। গন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি বন দপ্তর। শুধু গন্ডারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিচরণস্থল গরুমারা ও জলদাপাড়া হয়ে থাকা স্ত্রী পুরুষ গন্ডারের অনুপাত অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। চলতি মাসেই দু’দিনব্যাপী গন্ডার শুমারি হয় গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। আর তাতেই বর্তমানে গরু মারায় গন্ডারের সংখ্যা ৫৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১টি।
আগে প্রতি দুবছর অন্তর অন্তর গন্ডার শুমারি হত। শেষ ২০২২ সালের মার্চ মাসে গন্ডার শুমারি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের গরুমারা ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে। ২০২৪ সালে গন্ডার শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও এক বছর পিছিয়ে ২০২৫ সালে করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ১২ বছরে গন্ডার শুমারি হয়েছে মোট ৫ বার। পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, প্রতি বছরেই বেড়েছে গন্ডারের সংখ্যা। জলদাপাড়ায় ২০১৩ সালে গন্ডারের সংখ্যা ছিল ১৮৬ টি, ২০১৫ সালে সেটা বেড়ে হয়েছিল ২০৪। ২০১৯ সালে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ২৩৭। ২০২২ সালে ২৯২। এবছর অনেকটাই বেড়ে হয়েছে ৩৩১। এর মধ্যে এবারও জলদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জ এ সবচেয়ে বেশী ১৪৩ টি গন্ডারের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। জলদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জ এ পড়েছে বড়োশালকুমার, সিসামারা এলাকা। তাছাড়া চিলাপাতা রেঞ্জে পাওয়া গিয়েছে ৪০টি, জলদাপাড়া উত্তর রেঞ্জে ৬৩টি, জলদাপাড়া পশ্চিমে ৫৫টি আর কোদালবস্তিতে ৩৩টি গন্ডারের সন্ধান পাওয়া গেছে।
শুধু জলদাপাড়াই নয়, একইভাবে গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে গরুমারা জাতীয় উদ্যানেও। ২০১৩ সালে গরুমারায় গন্ডারের সংখ্যা ছিল ৪৩, ২০১৫ সালে মাত্র ৬টি বেড়ে হয় ৪৯, ২০১৯ সালে গন্ডারের সংখ্যা ছিল ৫২, ২০২২ সালে ৫৫। এবার শুমারিতে হদিস মিলল ৬১টি গন্ডারের।
উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ বিভাগের বনপাল ভাস্কর জে ভি জানান, গরুমারায় স্ত্রী-পুরুষ গন্ডারের অনুপাত বর্তমানে দাঁড়াল ১:৫৯। যা আগে তুলনায় অনেকটাই ভালো। জানাগেছে একটি পুরুষ গন্ডার পিছু তিনটি স্ত্রী গন্ডার প্রয়োজন। সেখানে সেই সংখ্যাটি অনেকটাই কম ছিল। বর্তমানে এই অনুপাত কিছুটা উন্নতি করার খুশি বন দপ্তর। ভাস্কর জেভি আরও জানান, শুমারির রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই গন্ডারের আবাসস্থল, বাস্ত্রতন্ত্র নিয়ে কি কি সমস্যা আছে তার সম্পর্কে বাস্তব ধারনা পাওয়া যাবে।