বিশ্বজিৎ সরকার, রায়গঞ্জ: নবম শ্রেণির ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য মহিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষণীয়া গ্রামে। মৃত্যুর আগে বাঁ হাতে মেহেন্দি পরে গলায় ফাঁস দিয়ে তার অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনার খবর যায় রায়গঞ্জ থানার ভাটোল ফাঁড়িতে। পুলিশ শনিবার দুপুর নাগাদ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম দীপা বর্মন (১৪), রায়গঞ্জ থানার রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারাজা হাট গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। মৃত নাবালিকার বাবা তিথেন বর্মন বলেন, ‘এদিন সকাল থেকেই বাড়ির বারান্দায় বসে মেহেন্দি পরছিল। আমার স্ত্রী দুই তিনবার স্কুল যাওয়ার কথা বলে, কিন্তু যায়নি। এরপর আমার স্ত্রী জমিতে কাজ করতে যায়। আমি মহারাজা হাটে বাজার করতে যাই। শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখি শোয়ার ঘরের দরজা বন্ধ। জানলায় উঁকি মারতেই চোখে পড়ে ঘরের সিলিংয়ে ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মেয়ে।’
তাঁর চিৎকারে ছুটে আসে পাড়াপড়শিরা। এরপর পুলিশ এসে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠায। মৃত নাবালিকার মা যশোদা বর্মন বলেন, ‘সকাল থেকেই হাতে মেহেন্দি পরতেই ব্যস্ত ছিল। দুই-তিনবার স্কুলে যেতে বলেছিলাম। আজকে স্কুলে যাবে না বলে জানায়। এরপর আমি আমার মতন মাঠে কাজে চলে যাই। স্বামীর চিৎকারে ছুটে এসে দেখি মেয়ের এই অবস্থা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রেমঘটিত কারণেই ওই নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। যদিও কি কারণে ওই নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশার পরিবার।