রায়গঞ্জ: দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলায় এখনও কমবেশি ১,২০০ উপভোক্তা রয়েছেন যারা ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পের টাকা নিয়েছেন, অথচ এখনও বাড়ি তৈরি করেননি। এই প্রসঙ্গে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) ডিরেক্টর জলি চৌধুরী বলেন,‘সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হবে। যদি তাঁরা বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ না করে সেক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ শনিবার রায়গঞ্জে এসেছিলেন জলিবাবু। এদিন দুপুরে রায়গঞ্জের মোহরকুঞ্জে দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলার মোট নয়টি পৌরসভাকে নিয়ে সুডার তরফে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে সুডার পক্ষ থেকে বরুণ হালদার, করবী ব্যানার্জী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গের নয়টি পৌরসভার পৌর কর্মীরা।
এদিন মূলত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও হাউজিং ফর অলের বিষয়ে প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজিত হয়। জানা গেছে, এই মূহুর্তে গৌড়বঙ্গের নয়টি পৌরসভার অধীনে প্রায় আট হাজার বাড়ির কাজ চলছে। তাদের মধ্যে প্রায় বারোশো উপভোক্তা বাড়ির টাকা তুলে নিলেও কাজ করেননি। এদিন জলি চৌধুরী বলেন, “এরকম বেশ কিছু ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে। কিন্তু সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এক্ষেত্রে উপভোক্তাকে প্রথমে একটি নোটিশ ধরানো হয়। সেই নোটিশে পনেরো দিনের মধ্যে বাড়ি সম্পন্ন করতে বলা হয়। তাতে কাজ না হলে সাতদিনের মধ্যে বাড়ি সম্পন্ন করতে নোটিশ ধরানো হয়। তারপরও যদি উপভোক্তা সেই কাজ না করেন সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আগামী দুই মাসের মধ্যে হয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, নয়তো টাকা ফেরত দিতে হবে।”
এর পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়েও বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে। আগামী দিনে কোনও পৌর এলাকাতেই ভাগাড় দেখা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তার পরিবর্তে সেই জায়গায় তৈরি হবে কারখানা। মূলত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভেজা ও শুকনো বর্জ্যকে আলাদা করে প্ল্যান্টের মাধ্যমে সেগুলোকে প্রসেস করা হবে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা এলাকায় এই প্ল্যান্ট চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জলি চৌধুরী।