রায়গঞ্জ: ১৩ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার ঘটনায় মালদা থেকে অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করল জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম তৈমুর আলি (২১)। বাড়ি রায়গঞ্জের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোমবার রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে পেশ করে। অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন জজ কোর্টের বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
২০২৩ সালের ২২ জুলাইয়ের ঘটনা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে তেরো বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নাবালিকার নগ্ন ছবি মোবাইলে তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় তৈমুর। ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় মূল অভিযুক্ত সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরই ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দেয় তৈমুর। প্রায় দু’বছর পলাতক থাকার পর রবিবার রাতে মুম্বইয়ের ট্রেন থেকে মালদার স্টেশনে নামে সে। নামতেই জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ তৈমুরকে গ্রেপ্তার করে।
এদিন আদালত ক্যাম্পাসে দঁাড়িয়ে নাবালিকার মায়ের বক্তব্য, ‘আমরা জমিতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমার ১৩ বছরের মেয়ে বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিল। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়। তখন আমার মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ত। ঘটনার পর থেকে পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিন দুপুরে পুলিশ মারফত খবর পাই অভিযুক্তকে মালদা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি চাই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’
রায়গঞ্জ মহিলা থানার পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘অভিযুক্ত তরুণ দীর্ঘদিন ভিনরাজ্যে আত্মগোপন করেছিল। রবিবার মুম্বই থেকে রায়গঞ্জের বাড়িতে আসার কথা জানতে পারি। এরপর মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অভিযুক্তকে মালদা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।’