রায়গঞ্জ: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court docket) রায়ে চাকরি গিয়েছে রায়গঞ্জের (Raiganj) দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানী উচ্চ বিদ্যাপীঠের দুই শিক্ষিকার। গত ৩ এপ্রিল রায় বেরোতেই স্কুলে হতাশ হয়ে পড়েন তারা। শুক্রবার স্কুলের পথে বাড়াননি দুই দিদিমণি। শনিবার থেকে বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষা। তারা বিদ্যালয়ে না আসলে পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমস্যায় পড়বেন, তাই আজ নির্দিষ্ট সময় স্কুলে এলেন চাকরিহারা দুই শিক্ষিকাই। পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়ার পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্পের কাজও করলেন। তবে শিক্ষিকা কৃষ্ণমৃত্তিকা নাথ ও শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা গুহ আজ আসলেও আসেননি বাতিলের তালিকায় থাকা শিক্ষাকর্মী মহম্মদ সেলিম।
শিক্ষিকা কৃষ্ণমৃত্তিকা বলেন, ‘আমরা নিয়োগপত্র পেয়েছিলাম মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। প্যানেল বাতিল হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা স্কুলে আসেনি। লিখিত নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে কর্তব্য পালন করব।’
আরেক চাকরিহারা শিক্ষিকা প্রিয়াঙ্কা গুহ বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে চাকরি বাতিলের। যেহেতু কন্যাশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছি, কিছু কাজ বাকি রয়েছে। আগামী ৭ তারিখের মধ্যে সব কাজ শেষ করে দেব।আমরা বিপদে পড়েছি বলে তাদের বিপদে ফেলতে পারি না।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রাখি বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী আমরা কাজ করব। বিদ্যালয় সবসময় ওই শিক্ষিকাদের পাশে রয়েছে। আজ তারা স্কুলে এসে দায়িত্ব পালন করেছেন। এটাই আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২৬ হাজার চাকরি হারাদের তালিকায় নাম রয়েছে রায়গঞ্জের দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র রাধারানী উচ্চ বিদ্যাপীঠের এই দুই শিক্ষিকা। তালিকায় নাম থাকায় আচমকাই আকাশ ভেঙে পড়েছে তাদের মাথায়। চাকরি চলে যাওয়ায় সমস্ত কিছু ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে তাদের। যদিও এখনও পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের কাছে কোন রকম লিখিত নির্দেশিকা আসেনি। তাই তারা আজ বিদ্যালয়ে এসেছেন পরীক্ষার ডিউটি সহ অন্যান্য বকেয়া কাজগুলি করতে।