রায়গঞ্জ: এমআরপির থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ায় রায়গঞ্জের একটি রেস্তোরাঁকে জরিমানা করল ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। ঘটনাটি ২০১৯ সালের ১৬ জুলাইয়ের। বন্ধুদের নিয়ে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন রায়গঞ্জের বাসিন্দা হরষিত দত্ত। সেখানে জল ও সোডার দাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। অতিরিক্ত ২১ টাকা বেশিও নেওয়ায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে রেস্তোরাঁকে।
জানা গিয়েছে, শহরের দেহশ্রী মোড় সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন হরষিত দত্ত। সেদিন খাবারের বিল হয় ১১৪৯ টাকা। বিলে তাঁরা লক্ষ্য করেন পানীয় জল ও সোডার দাম যথাক্রমে ২৮ টাকা ও ৩৩ টাকা নেওয়া হয় যেখানে দুটোরই এমআরপি ছিল ২০ টাকা। বিষয়টি নজরে আসতেই রেস্তোরাঁর মালিককে তাঁরা সঠিক দাম নেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু রেস্তোরাঁ মালিক কিছুতেই বাড়তি দাম কমাতে রাজি হননি। পরবর্তীতে উত্তর দিনাজপুর কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের দ্বারস্থ হন হরষিত। সম্প্রতি সেই মামলার রায় দেয় আদালত। ওই রেস্তোরাঁকে ১২ হাজার ১২১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামী ১৪ জুনের মধ্যে হরষিতের কাছে সেই ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে ৬ শতাংশ বার্ষিক সুদের হারে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অভিযোগকারী যুবক হরষিত বলেন, “সেই সময় পানীয় জল ও সোডার দাম যথাক্রমে ২৮ টাকা ও ৩৩ টাকা নেওয়া হয় যেখানে দুটোরই এমআরপি ছিল ২০ টাকা। সেখানে জানালে তারা বাড়তি টাকা ফেরত দিতে রাজি না হওয়ায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হই।”
হরষিতের আইনজীবী চন্দন সরকারের কথায়, “প্রায়শই হোটেল, রেস্টুরেন্টে এমআরপির থেকে বেশি দাম নেওয়া হয়। কিন্তু সেটা আইনবিরুদ্ধ। ক্রেতারা সচেতন হলেই এরকম ঘটনা আটকানো যায়।”