উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে ফের নির্বাচন কমিশনকে (Election Fee) তীব্র আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে রাহুলের স্পষ্ট দাবি, যদি ভোট চুরি যদি প্রমাণিত হয়, তবে ইন্ডিয়া জোট (INDIA bloc) ক্ষমতায় এলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং আরও দুই নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার বিহারের গয়ায় (Gaya) এক জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। সেখান থেকেই কমিশনকে তোপ দেগে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের ভোট চুরি (Vote chori) ধরা পড়ার পরেও কমিশন তাঁকে হলফনামা দাখিল করতে বলছে। এরপরই তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই ভোট চুরি ‘ভারত মাতার’ আত্মার উপর আক্রমণ। রাহুলের কথায়, ‘আজ আমাকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি বলতে চাই যে এরপর পুরো দেশ নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিতে বলবে। কিছুটা সময় দিন, আমরা প্রতিটি বিধানসভা এবং লোকসভা আসনে কমিশনের ভোট চুরি ধরব এবং জনগণের সামনে তা তুলে ধরব।’
এরপরই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র) মোদি যেমন একটি বিশেষ প্যাকেজের কথা বলেন, তেমনই নির্বাচন কমিশন বিহারের জন্য এসআইআর নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ এনেছে। যার অর্থ ভোট চুরির এক নতুন রূপ।’
সোমবারের সভা থেকে রাহুল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সান্ধু এবং বিবেক যোশীর উপর সরাসরি আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, ‘এই তিন নির্বাচন কমিশনারকে আমি বলতে চাই যে আজ মোদিজির সরকার আছে বলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। কিন্তু একদিন আসবে, যখন বিহার এবং দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সরকার হবে। তখন আপনাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আপনারা গোটা দেশ থেকে ভোট চুরি করেছেন।’
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি সহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা। যদিও এই অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনকি রবিবারই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার রাহুলকে সাত দিনের মধ্যে প্রমাণ সহ হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেন। না হলে তাঁর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে গণ্য করা হবে বলে স্পষ্ট জানায় কমিশন। আর তার একদিন পরই গয়ার জনসভা থেকে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাহুল।