উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য বাংলার মসনদ দখল। তাই আগেভাগেই ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে বঙ্গ সফরে পর পর দু’বার এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। শুক্রবার দুর্গাপুরের (Durgapur) জনসভা থেকে মোদির বক্তব্যে উঠে এল আরজি থেকে কসবাকাণ্ড। দুই ঘটনার জন্য সরাসরি দায়ী করলেন রাজ্যের শাসকদলকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মা মাটি ও মানুষের কথা বলা সরকারের আমলে মেয়েদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তা যেমন পীড়াদায়ক তেমনি আক্রোশের। এটা এমন একটা জায়গায় হচ্ছে যেখান থেকে কাদম্বিনি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর সংস্কার অর্জন করেছেন। যিনি ভারতের প্রথম মহিলা চিকিৎসক ছিলেন। আজ ওনার জন্মদিন, কিন্তু আজ পশ্চিমবঙ্গে মেয়েরা হাসপাতালেও সুরক্ষিত নয়। আপনারা দেখেছেন যখন এখানে চিকিৎসক কন্যার উপর অত্যাচার হল তখন তৃণমূলের সরকার কীভাবে দোষীদের বাঁচাতে তৎপর হয়েছিল। এই ঘটনার অভিঘাত থেকে দেশ যখনও বের হয়নি তখন আরও একটি কলেজে এক মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অত্যাচার হল। এখানেও অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ পাওয়া গেছে। তৃণমূলের বড় নেতা মন্ত্রীরা অভিযুক্তের বদলে নির্যাতিতাকেই দোষী বলে দাগিয়ে দেয়।’
উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ে মেগা সমাবেশের (21 July Rally) আগে রাজ্যের শাসকদলকে চাপে রাখতে মোদির বঙ্গে আগমন। তবে এদিন তাঁর স্বল্প সময়ের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, রাজ্যে ঘটে যাওয়া প্রতিটি বিষয় নিয়ে তিনি হোমওয়ার্ক করেছেন। আরজি কর কাণ্ড থেকে কসবাকাণ্ড কিছুই বাদ পড়েনি মোদির বক্তব্য থেকে। সবটা যে তাঁর জ্ঞাত, তা পরিষ্কার। এরই পাশাপাশি এই দুই ঘটনার সঙ্গে তৃণমুলের নাম জড়ানোর বিষয়টিও প্রকারন্তরে তিনি মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যবাসীকে। সঙ্গে এই বার্তাই হয়তো দিতে চাইলেন, তৃণমূলের শাসনকালে মেয়েরা বাংলায় সুরক্ষিত নয়।