Mekliganj | গুদামে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রশ্ন সুরক্ষায়

Mekliganj | গুদামে নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, প্রশ্ন সুরক্ষায়

শিক্ষা
Spread the love


মেখলিগঞ্জ: চ্যাংরাবান্ধা বাইপাস এলাকায় মঙ্গলবার সকালে একটি খাদ্যদ্রব্য মজুত রাখার গুদামে আগুন লাগায় চাঞ্চল্য ছড়ায় মেখলিগঞ্জজুড়ে। দমকল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় যে, গুদামে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও সেটি কাজ না করায় বাইরে থেকে জল এনে আগুন নেভাতে রীতিমতো হিমসিম খেতে হয় তাঁদের। এই ঘটনার পর থেকে সমস্ত গুদাম নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মেখলিগঞ্জ শহর ও শহর সংলগ্ন ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে প্রায় ৮০টির মতো গুদাম। কিন্তু সেই গুদামগুলোর অধিকাংশই কোনও নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি বলেই অভিযোগ। ওই সমস্ত গুদামে সাধারণত পাট, তামাক, তুলো, খাদ্যসামগ্রী সহ বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়। মেখলিগঞ্জ দমকলকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ অ্যান্টনি সাহা বলেন, ‘ফায়ার অডিটের সময় আমরা গুদাম ব্যবসায়ীদের সচেতন করেছি। মেখলিগঞ্জের মহকুমা শাসক এবং পুরসভাকেও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এছাড়া গুদামগুলোকে এই বিষয়ে দমকলের তরফে নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এরপরেও তারা কর্ণপাত করেনি।’ এবারে দমকলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি ইস্যু করা হবে বলে তিনি জানান।

মেখলিগঞ্জের বেশিরভাগ গুদাম মালিকই সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা করেননি। যাঁদের কাছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে তাঁদের অনেকেরই সেই যন্ত্র পরিচালনা করার কোনও প্রশিক্ষণ নেই। মূলত আর্থিক কারণেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে ব্যবসায়ীদের অনীহা। মেখলিগঞ্জ ব্লকের চ্যাংরাবান্ধা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান ইলিয়াস রহমানের অভিযোগ, ‘গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইডলাইন গুদামগুলো মানে না। বেশিরভাগ আইনের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করে, ট্যাক্স দেয় না। কিন্তু কারও গাফিলতির জন্য গরিব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। এবিষয়ে মেখলিগঞ্জ পুলিশের এসডিপিও আশিস পি সুব্বাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ফায়ার ওসির সঙ্গে কথা হয়েছে। ওঁদের তরফেই বৈঠক ডাকা হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে কমার্সিয়াল গোডাউনগুলোকে গাইডলাইন দেওয়া হবে।

অন্যদিকে মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির তরফেও এই বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। মেখলিগঞ্জ মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ভোলাপ্রসাদ সাহা বলেন, ‘গোডাউন মালিকদের নিজের পাশাপাশি গোডাউন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষার বিষয়েও ভাবতে হবে। যেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই সেখানে অবিলম্বে চালু করা দরকার।’ এক্ষেত্রে দমকলের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও পদক্ষেপ করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন গোডাউন মালিক সুমিত তাপারিয়াও। তবে সেইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘মেখলিগঞ্জের ৯০ শতাংশ গুদাম মাঝারি ব্যবসায়ীদের। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখার ক্ষেত্রে খরচ একটি দিক। এই বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *