উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: নিজেদের গড়েই নতজানু মাওবাদিরা। বুধবার ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের দান্তেওয়াড়ায় (Dantewada) একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করলেন প্রায় ৭১ জন মাওবাদী গেরিলা (Maoists Give up), যাদের মধ্যে ৩০ জনের মাথার দাম ছিল ৬৪ লক্ষ টাকা। এদিন তাঁরা পুলিশ এবং সিআরপিএফ কর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ২১ জন মহিলা ক্যাডারও রয়েছেন। মাওবাদী সমস্যা সমাধানে ‘ লোনে ভারাত্তু’ (ঘরে ফিরে যাওয়া) এবং ‘পুনা মার্গেম’ ( নতুন জীবনের জন্য পুনর্বাসন) নামে দু’ধরনের প্রচার শুরু করেছে প্রশাসন। সেই প্রচারে সাড়া দিয়েই মাওবাদীরা হিংসার পথ ত্যাগ করে মূল স্রোতে ফিরতে শুরু করেছেন।
দান্তেওয়াড়ায় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১৯ মাসে দান্তেওয়াড়ায় ৪৬১ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন, যার মধ্যে ১২৯ জনকে পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার গৌরব রাই বলেন, ‘আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ৮ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্যের বামন মাদকামও রয়েছে, যে ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বস্তার বিভাগের দান্তেওয়াড়া, সুকমা এবং বিজাপুর জেলায় একাধিক এনকাউন্টারে জড়িত ছিল।’ ৫ লক্ষ টাকা মাথার দাম সহ আত্মসমর্পণ করেছে শামিলা ওরফে সোমলি কাওয়াসি, যে ২০২৩ সালে ভৈরামগড় টাওয়ার অগ্নিসংযোগ এবং ২০২৪ সালে বোডগা এনকাউন্টারে অভিযুক্ত, গাঙ্গি ওরফে রোহিনী বরসে, যে ২০২৪ সালে ভামরাগড় এরিয়া কমিটির অংশ হিসেবে পারাডি এনকাউন্টারে জড়িত ছিল এবং দেব ওরফে কবিতা মাদভি।
অন্যান্য ক্যাডাররা স্বীকার করেছে, যে তারা বনধের ডাক সফল করতে রাস্তা খোঁড়া, গাছ কাটা এবং মাওবাদী ব্যানার ও পোস্টার লাগানোর কাজে অংশ নিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে যে মাওবাদী আদর্শের প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশা, অভ্যন্তরীণ বিভেদ, বনে কঠোর জীবনযাপন এবং আদিবাসীদের শোষণের প্রতি ক্রোধের কারণে এরা আত্মসমর্পণ করেছে।