Manikchak | রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা সাংসদের মুখে, মানিকচকে বন্ধ কোটি টাকার বায়োগ্যাসচালিত চুল্লি

Manikchak | রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কথা সাংসদের মুখে, মানিকচকে বন্ধ কোটি টাকার বায়োগ্যাসচালিত চুল্লি

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


আজাদ,মানিকচক: প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ করে শবদাহের জন্য বায়োগ্যাস চালিত চুল্লি তৈরি করা হয়েছিল। মানিকচক ঘাট সংলগ্ন এলাকায় এই কাজের টাকা দিয়েছিলেন দক্ষিণ মালদার তৎকালীন সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। ঘটা করে তার উদ্বোধনও হয়। উদ্বোধনের পর মাস কয়েক চালু ছিল সেই চুল্লি। তারপরেই চুল্লিটি বন্ধ হয়ে যায়। চার বছরেও সেই চুল্লি চালু হয়নি। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণেই চুল্লিটি পুনরায় চালু করতে প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। সোমবার মানিকচকে জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই অভিযোগ করেন দক্ষিণ মালদা লোকসভার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী।

সোমবার মানিকচক যান দক্ষিণ মালদা লোকসভার সাংসদ ইশা খান চৌধুরী ও মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম। প্রথমেই মানিকচক ঘাট সংলগ্ন বায়োগ্যাসচালিত শবদাহ চুল্লিটি তাঁরা পরিদর্শন করেন। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ তহবিল থেকে নির্মিত চুল্লিটির বন্ধদশা দেখে ক্ষুব্ধ সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। প্রথমে যান্ত্রিক ত্রুটি ও পরবর্তীতে কর্মীর অভাবেই অনির্দিষ্টকালের জন্য চুল্লিটি বন্ধ হয়ে যায়। চুল্লি পরিদর্শনের পর মানিকচক ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ভাঙন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সাংসদ। এছাড়াও মথুরাপুরে নির্মীয়মাণ পিএইচই প্ল্যান্টের কাজ খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে  জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দিতে নুরপুরে যান সাংসদ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তাঁরা। নুরপুর ও চৌকি মির্জাদপুরে মৃত দুই কংগ্রেস কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখাও করতে যান ইশা খান চৌধুরী।

বায়োগ্যাস চালিত শবদাহ চুল্লির বেহাল দশা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ সাংসদ। তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষের জন্য যে চুল্লিটি করা হয়েছিল, সেটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে ও প্রশাসনের অবহেলায় বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কোনও পদক্ষেপ করেনি। কংগ্রেস সাংসদের কাজ বলেই এমন দশা। আমরা পুনরায় এই চুল্লিটি চালু করতে চলেছি। এর জন্য যত অর্থ বরাদ্দ হয় তা আমি আমার সাংসদ তহবিল থেকে করব। খুব শীঘ্রই চুল্লির পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ।’

এবিষয়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন,‘আমরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করিনি। রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই এই চুল্লির নির্মাণ করেছিল কংগ্রেস। সাধারণ মানুষের পরিষেবার উদ্দেশ্যে নয়, শুধুমাত্র ভোটে জেতার উদ্দেশ্যে বিধানসভার ঠিক আগে এই চুল্লির উদ্বোধন হয়। চুল্লিটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংস্থাকে  দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র উদ্বোধন করেই কংগ্রেস নেতারা বাড়ি চলে গিয়েছেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *