উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যানহোলে মৃত্যুর ঘটনায় পদক্ষেপ করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঠিকাদার আলিমুদ্দিন শেখকে। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। এই ঘটনায় কেএমডিএ-র কোনও আধিকারিকের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। রবিবারেই বানতলার লেদার কমপ্লেক্সে ট্যনারির বর্জ্য সাফাইয়ের জন্য ম্যানহোলে নেমেছিলেন এক সাফাইকর্মী। পরে তাকে উঠতে না দেখে আরও দু’জন নামেন। কিন্তু পাঁকে আটকে পড়ে ও বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হয় তিন জনেরই। এই তিনজনেরর মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কেন ম্যানহোলে মানুষ নামিয়ে পরিষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হল সেই প্রশ্ন উঠছে। এছাড়াও যারা নেমেছিলেন তাদের কাছে যথাযথ সুরক্ষাব্যবস্থাও ছিল না বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঠিকাদারকে গ্রেপ্তার করেছে। মৃত ফরজেম শেখের পরিবার দাবি করছে, ঠিকাদার ভুল বুঝিয়ে ম্যানহোলে নামিয়েছিল। ম্যানহোলের গভীরতা যেখানে ১০ ফুট, সেখানে ৬-৭ ফুট বলে জানানো হয়। রোববারই শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন ফিরহাদ হাকিম। তিন শ্রমিকের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা জানান মেয়র।