উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনের (Malda TMC Employee Homicide Case) ঘটনায় আরও ২ জন ধরা পড়ল কালিয়াচক থানার পুলিশের (Kaliachak Police) জালে। এনিয়ে গ্রেপ্তারির সংখ্যা দাঁড়াল ৫। এই ২ জনকে হায়দরাবাদ (Hyderabad) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতার এসটিএফ ও তেলেঙ্গানা পুলিশের সহযোগিতায় হায়দরাবাদে অভিযান চালানো হয়। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়ে এই দু’জন। ধৃতদের নাম আব্দুল আলিম ওরফে জিএম। দ্বিতীয় জনের নাম জাবিউল মোমিন। দু’জনের বাড়ি কালিয়াচকের নওদা যদুপুর পঞ্চায়েতের কাশিমনগর গ্রামে। ধৃত আব্দুল আলিম ওরফে জিএম যদুপুর খুনকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জাকির শেখের ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি ঘটনার সময় হাসার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করতে দেখা গিয়েছে এই আব্দুল আলিমকে। তাকে সহযোগিতা করে জাবিউল। ইট দিয়ে মারার ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। ধৃত দুজনকে কালিয়াচকে নিয়ে আসার তোড়জোড় শুরু হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন।
সম্প্রতি কালিয়াচকে (Kaliachak) একটি রাস্তা ও ড্রেনের কাজের উদ্বোধনে যোগ দিয়ে ফেরার পথে গুলি চালানো হয় তৃণমূলের নওদা-যদুপুর অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে লক্ষ্য করে। ঘটনায় বকুল শেখ সহ আরও ২ জন জখম হন। এর মধ্যে রয়েছে বকুল শেখের ভাই এসারুদ্দিন ও তৃণমূল কর্মী হাসা শেখ। পরে জানা যায়, হাসাকে গুলি করে পরে ইট দিয়ে থেতলে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নাম জড়ায় কিছুদিন আগেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জাকির শেখের। মূলত নওদা যদুপুর অঞ্চল সভাপতির পদ পাওয়া নিয়েই দ্বন্দ্ব থেকে খুনের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বকুল ও জাকিরের সংঘর্ষের বেশকিছু ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এর আগে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ এখনও অধরা। মূল অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।