কল্লোল মজুমদার ও আজাদ, মালদা ও মানিকচক: চলতি বছরের শুরুতেই মালদায় (Malda) নৃশংসভাবে খুন (Murder) হয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বাবলা ওরফে দুলাল সরকার (TMC Chief Dulal Sarkar)। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মালদায় তৃণমূল নেতার হাতেই খুন হলেন আর এক তৃণমূল নেতা! বাবলা সরকার খুনের ঘটনার নেপথ্যে ছিল প্রোমোটার মাফিয়ার তত্ত্ব। এদিনের ঘটনাতেও উঠছে একই অভিযোগ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজবাজারের অমৃতির লক্ষ্মীপুরে।
মৃতের নাম আবু কালাম আজাদ। বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর গ্রামে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। সূত্রে খবর, আটক দুই অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। রাতেই ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ওই তৃণমূল নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এদিকে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন মৃতের স্ত্রী শিউলি খাতুন সহ আর তিনজন। বর্তমানে তারাও মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical Faculty) চিকিৎসাধীন। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই আবু কালাম আজাদ ইংরেজবাজারের লক্ষীপুরের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য মাইনুল শেখের সঙ্গে জমির ব্যবসা করতেন। গতকাল রাতে আবুল কালাম আজাদ তাঁর স্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন লক্ষীপুর আসেন এক জন্মদিনের পার্টিতে। আর সেখানেই জমির ব্যবসা নিয়ে শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল। অভিযোগ ঠিক সেই সময় এই তৃণমূল নেতাকে ঘর বন্ধ করে কুপিয়ে খুন করা হয়।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম মাইনুল শেখ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাইনুল শেখ কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতলেও পরবর্তীতে জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বকসির হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর এলাকায়।