Malda | হাঁটুজলে যাতায়াতে ভোগান্তি, দুর্ভোগ বাসিন্দাদের

Malda | হাঁটুজলে যাতায়াতে ভোগান্তি, দুর্ভোগ বাসিন্দাদের

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


হরষিত সিংহ, মালদা: বৃষ্টি হলেই জলমগ্ন রাস্তা। হাঁটুসমান জলে যান চলাচলের পাশাপাশি সাধারণের যাতায়াত। জলমগ্ন বাড়ি থেকে মুক্তি কবে, প্রশ্ন তোলা স্বাভাবিক পুর নাগরিকদের। ফি বছর এমন পরিস্থিতি ইংরেজবাজার পুর এলাকায়। সেই চেনা ছবি ফিরে এসেছে এবারও, টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে। সুভাষপল্লি, সর্বমঙ্গলাপল্লি, প্রান্তপল্লি সহ একাধিক ওর্য়াডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। এমনকি, গত কয়েক বছর ধরে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সংলগ্ন এলাকাতেও জমছে জল। পরিস্থিতির জেরে যথারীতি শহরের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ইংরেজবাজার (English Bazar) পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দাবি, ‘শহরের কোথাও জল জমে না। অতিবৃষ্টির ফলে কিছু এলাকায় জল জমে ছিল সাময়িক। চারিদিকে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। শহরের সমস্ত জলই বের হয়ে যাচ্ছে। নতুন নিকাশিনালা তৈরিতে জল আরও তাড়াতাড়ি বের হচ্ছে।’

টানা দু’দিন ধরে কার্যত বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছে মালদায় (Malda)। বিভিন্ন এলাকায় জমতে শুরু করেছে জলও। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত নেই কোনও নিকাশি ব্যবস্থা। ফলে বৃষ্টি হলেই জলে ভাসে সুভাষপল্লি। পাশাপাশি একই সমস্যায় জাহাজফিল্ড, নরসিংহকুপা, লিচুবাগান সহ একাধিক এলাকা। যা নিয়ে এলাকায় রয়েছে ক্ষোভ। কিছু কিছু এলাকায় তো বছরের অধিকাংশ সময় জলমগ্ন হয়ে থাকে। এমন অভিযোগ তুলছেন খোদ ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুজিত সাহা। তিনি বলেন, ‘সুভাষপল্লি এলাকায় পাকা ড্রেন নেই। আবার ওয়ার্ডের বাকি কিছু এলাকায় ড্রেন তৈরি হয়নি। ফলে বৃষ্টির জল আটকে থাকছে। বিষয়টি প্রশাসনকে বহুবার জানিয়েছি।’ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বমঙ্গলাপল্লি, প্রান্তপল্লির জলছবিটাও একইরকম। দু’দিনের বৃষ্টিতে একাধিক গলিতে হাঁটুসমান জল জমে রয়েছে। বাড়িগুলিতেও জল থইথই। সমস্যায় এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা রতন চৌধুরী বলছেন, ‘আধ ঘণ্টা বৃষ্টি হলেই জল জমে যায়। ভারী বৃষ্টি হলে বেশ কয়েকদিন এলাকায় জল জমে থাকে। বাধ্য হয়ে আমাদের জল ভেঙে যাতায়াত করতে হয়।’

মঙ্গলবারের পর বুধবারও বৃষ্টি হয়েছে। জল জমতে শুরু করেছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও। হাসপাতালের পুরোনো ভবনের নীচতলায় জমে রয়েছে জল। নোংরা জলের মধ্যে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের যাতায়াত করতে হচ্ছে। বৃষ্টি থামার পর হাসপাতাল চত্বরের জল কিছুটা বের হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ফের যদি বৃষ্টি হয়, তবে জলমগ্ন অবস্থার ছবিটা ফের ফিরে আসবে বলে মনে করছেন অনেকে। এছাড়াও ৩, ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু জায়গায় এদিন সকালে জল জমে ছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি কমলে জল নেমে যায়।

পুরকর্তাদের দাবি, বেশ কয়েকটি নতুন নিকাশিনালা তৈরি হওয়ায় আগের মতো এখন অনেক এলাকায় জল দাঁড়াচ্ছে না। পাশাপাশি দ্রুত জল বের হয়ে যাচ্ছে। যদিও পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলার অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘পুরসভার প্রতিটি বোর্ড মিটিংয়ে বারবার স্থায়ী জলনিকাশি ব্যবস্থা তৈরির জন্য আবেদন করেছি চেয়ারম্যানের কাছে। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় দেখা যাচ্ছে কাঁচা নালা কেটে ড্রেন তৈরি করে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করা হচ্ছে। সুসংগত পরিকল্পনা করে কোনও কাজ করছে না, শুধুমাত্র মানুষের ওপর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *