হরিশ্চন্দ্রপুর: দফায় দফায় তদন্তের পর হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) এক নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনের (Pretty Khatun) ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করল মহকুমা শাসক। এই প্রধানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি অভিযোগ ছিল, এলাকার এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে জাল ভারতীয় নাগরিক হওয়ার প্রমাণপত্র এবং ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করেছেন তিনি। এই নিয়েই দফায় দফায় তদন্ত হয়। অবশেষে শংসাপ্ত্র বালিত করেন মহকুমা শাসক।
পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) নাগরিক লাভলি খাতুন। তিনি বিয়ে করেন ভারতীয়র সঙ্গে। এরপর সমস্ত নথি জালিয়াতি করে তৈরি করেন ওবিসি শংসাপত্র। সেই শংসাপত্র নিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয়ী হওয়ার পর সুযোগ বুঝে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হন। সেই সময় যে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে ছিলেন তিনি সহ আরো চারজন তাঁর এই কীর্তি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Excessive Courtroom) বিচারপতি অমৃত সিনহার (Justice Amrita Sinha) ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টের নির্দেশে মহকুমা শাসকের কাছে দু’বার শুনানির পর ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি।
হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন বলেন, ‘দেখা গিয়েছে ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificates) নকল। বাতিল হয়েছে। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে কী হবে, ভোট হবে নাকি প্রশাসনিক চার্জ হবে, নাকি উপপ্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা দেখা যাক।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তারপর নিজের পূর্ব পরিচয় মিটিয়ে ফেলেন। বাবার নামও বদলান। ২০১৫ সালে ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। ২০১৮ সালে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে, নথিতে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। কিন্তু অভিযোগ, লাভলির বাবার নাম শেখ মুস্তাফা নয়। আসল নাম জামিল বিশ্বাস।