মালদা: গত ২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নৃশংসভাবে খুন হন জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি তথা কাউন্সিলার বাবলা সরকার। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও ফেরার দুই অভিযুক্ত। পলাতক দুই দুষ্কৃতীকে নিয়ে মালদাবাসীর কৌতূহল এতটুকু কমেনি।
ঘটনার দিন ২ জানুয়ারি মানিকচক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সামি আক্তার ও টিঙ্কু ঘোষকে। সেদিনই রাতে বিহার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ আবদুল গনিকে। ধৃতদের জেরা করে উঠে আসে আরও কয়েকজনের নাম। পরদিন অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজক নামে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত বাবলু যাদব ও কৃষ্ণা রজক ওরফে রোহনকে পেতে জেলা পুলিশ দু’লক্ষ টাকা করে মোট চার লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ঘটনার মূলচক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ জানুয়ারি বিহারের পূর্ণিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ আসরারকে।
দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হলেও বাবলু যাদব ও কৃষ্ণা রজক গ্রেপ্তার না হওয়ায় অঙ্ক মেলাতে পারছেন না তদন্তকারী অফিসাররা। ফেরার দুই অভিযুক্তের খোঁজে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের একাধিক দল বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা ও অসমে হানা দিয়েছে। মোবাইলের লোকেশন ধরে ফেরারদের খোঁজ পেতে দু’জনের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ে ফেলা হয়েছে।
ধৃত অমিত রজকের হেপাজত থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলের সমস্ত তথ্য আদালতের সামনে বের করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন সিআইডির সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এক্সট্র্যাকশন করা হয়েছে ডিভিআরও। মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ের আওয়াজ মেলাতে ধৃতদের ভয়েজ স্যাম্পল সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশসূত্রে খবর। যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে রাজি নন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রতিক্রিয়া মেলেনি জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবেরও।