সৌম্যজ্যোতি মন্ডল,মালদা: প্রত্যেকের বক্তব্যতে প্রায় একই বার্তা। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে। এভাবেই কার্যত একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক থেকে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটানোর প্রয়াস করলেন মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার মালদা শহরের টাউন হলে একুশে জুলাই উপলক্ষে মালদা জেলা তৃণমূলের একটি প্রস্তুতি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান চৈতালি সরকার,জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন প্রমুখ।
বৈঠকের শুরুতে শাখা সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতিদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।পরবর্তীতে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন নেতৃত্বরা। সেই বক্তব্যে জেলা তৃণমূল সভাপতি থেকে শুরু করে শাখা সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতিরা প্রত্যেকেই বারবার সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলার কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক রদবদলে রহিম বক্সীর ওপর পুনরায় আস্থা রেখেছে তৃণমূল। তবে যুব, মহিলা এবং শ্রমিক সংগঠনে সভাপতি বদল হয়েছে। মঞ্চ থেকে এদিন রহিম বক্সি বলেন, ‘এখানে কেউ কোনও নেতা-নেত্রীর অনুগামী হলে চলবে না। এই দলে সকলে মমতা ব্যানার্জির অনুগামী।’
সাম্প্রতিককালে মালদার একাধিক জায়গায় শাসকের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এসেছে। সেই কোন্দলে জড়িয়েছেন বিধায়করাও। যা নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্য নেতৃত্ব। তাই বারবার এই একসাথে চলার বার্তা ! এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক ওয়াকিবহল মহল। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ বক্সি। তাঁর বক্তব্য, “মালদায় আমরা বরাবর ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে নেতৃত্বরা একসাথে চলার বার্তা দিচ্ছে। এর মাঝে নেগেটিভ ভাবার কিছু নেই।”
একুশে জুলাই জেলা থেকে অন্ততপক্ষে পনেরো হাজার কর্মী নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে এদিন। জানা গিয়েছে, মোট ৭০ টি বাস যাবে মালদা থেকে। এছাড়াও অনেকে ট্রেনে যাবেন। বেশিরভাগ নেতা-নেত্রীরা কর্মীদের নিয়ে উনিশ তারিখ রওনা দেবেন। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “একুশে জুলাই সবার কাছে আবেগ। এবারের একুশের তাৎপর্য আরও বেশি। মালদা থেকে উৎসাহের সঙ্গে ব্যাপক সংখ্যায় কর্মীরা যাবে। তার প্রস্তুতি নিয়েই মূলত আলোচনা।”