মালদা: ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর আক্রমণ বন্ধ না হলে বিজেপি সাংসদককে গ্রামে ঢুকতে না দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবো। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দিলেন মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি। রহিম বকসির এই বেলাগাম মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যের কড়া ভাষায় জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু।
ফের বেলাগাম বন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি। ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বুধবার রাজ্যজুড়ে মিছিল করে তৃণমূল। মালদা তৃণমূলের প্রতিবাদ এই কর্মসূচি থেকে বিজেপি সাংসদকে বেলাগাম আক্রমণ করেন রহিম বকসি। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদকে নাম না করে এদিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এই তৃণমূল নেতা। মঞ্চ থেকে রহিম বলেন, “দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে যদি বাঙালিদের উপর আক্রমণ বন্ধ না হয় তাহলে এখানে বিজেপির যে সাংসদ আছেন তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেব না। দেখব তিনি কীভাবে গ্রামে ঢোকেন। গ্রাম থেকে বয়কট করে ডিটেনশন ক্যাম্প করে উনাকে ঢুকিয়ে দেব। গোটা রাজ্যে কী হবে জানিনা। মালদা তৃণমূল মারের বদলা মার দেবে। খুনের বদলা খুন হবে।” নিজের মন্তব্য প্রসঙ্গে রহিম বকসির দাবি,”মালদা জেলা থেকে সব থেকে বেশি শ্রমিক বাইরে কাজ করতে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজ্যে তাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এখানকার বিজেপির সাংসদ কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নিয়ে কিছু বলছে না। তাই এ কথা বলেছি।”
তৃণমূল নেতার বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে সাংসদ খগেন মুর্মুর কটাক্ষ, “উনি মুখ খুললেই কু-কথা বের হয়। বিধানসভায় খাতা খুলতে পারবে না বুঝতে পেরে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন।”
প্রসঙ্গত এদিন সারা রাজ্যের সঙ্গে মালদাতেও জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে মালদা কলেজ গেটের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। পোস্ট অফিস মোড়ে গিয়ে শেষ হয় ওই মিছিল। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি, রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন প্রমুখ।