অরিন্দম বাগ, মালদা: কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে হুমকির ঘটনায় অবশেষে তিন জনকে গ্রেপ্তার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম শাহাদত শেখ, মহম্মদ দিলওয়ার হোসেন ও ওয়াসিম আক্রম। শাহাদত ইংরেজবাজারের (Malda) কমলাবাড়ি যদুপুর এলাকার বাসিন্দা। দিলওয়ার ও ওয়াসিমের বাড়ি কালিয়াচকের বামনগ্রাম ও মোসিমপুর। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে যে ফোন নম্বর থেকে ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল সেই মোবাইলের নম্বরের সূত্র ধরে পুলিশ এক মহিলার কাছে পৌঁছয়। ওই মহিলা পুলিশকে জানান, ওই নম্বর তিনি আগে ব্যবহার করতেন। সেই নম্বর তিনি পোর্ট করার জন্য কালিয়াচকের একটি দোকানে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দোকানদার তাঁকে সেই সিম ফেরত দেননি। এরপরই তদন্তকারী অফিসাররা ওয়াসিমকে আটক করে। কালিয়াচকে ওয়াসিমের একটি সিমের দোকান রয়েছে। পুলিশি জেরায় ওয়াসিম জানায়, দিলওয়ার হোসেনর কথাতেই সে শাহাদত নামে এক ব্যক্তিকে সিমটি ব্যবহার করতে দিয়েছিল। এরপরই আটক করা হয় দিলওয়ার হোসেন ও শাহাদত শেখকে। অবশেষে পুলিশি জেরায় হুমকি দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেয় শাহাদত।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, শুধু ওই মোবাইল নম্বর নয়, আগে আরও দুটি মোবাইল নম্বর শাহাদতকে দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই দুটি সিম কাজ না করায় এই সিমের ব্যবস্থা করা হয়। ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরিকে ফোন করে ডি কোম্পানির নাম করে হুমকি দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। বলা হয়, ‘২০ পেটি দেনা হোগা আপকো, নেহি তো তুম অর তুমহারি ফ্যামিলি মেম্বার কো টোক দেঙ্গে।’ অর্থাৎ টাকা না দিলে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে খুন করা হবে! এরপরই শোরগোল পড়ে যায় মালদা জুড়ে। বিশেষ করে কিছুদিন আগেই মালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার খুন হওয়ায় পুলিশ কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি। তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত করে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।