উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এরা ছিঁচকে চোর নয়, পকেটমার নয়, ওর বৌ চোর, ছেলে চোর, চোদ্দোগুষ্টি চোর।’ বুধবার নদিয়ার পলাশিপাড়ার বার্নিয়ায় তৃণমূলের কর্মীসভা থেকে নাম না করে দলেরই বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে ঠিক এই ভাষাতেই বিঁধলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharjee) নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত। বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন তিনি। মানিক ভট্টাচার্যর স্ত্রী ও ছেলেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
এদিন সেই মানিক ভট্টাচার্যকেই নাম না করে ছত্রে ছত্রে বিঁধেছেন মহুয়া। তাঁর আক্রমণের ভিত্তিই ছিল দুর্নীতি (Rip-off)। মহুয়া জানান, ‘যার জন্য দল কালিমালিপ্ত হয়েছে, যার জন্য সরকার প্রায় পড়ে গিয়েছে, আজ অবধি কেস চলছে, এফআইআর হয়েছে, চার্জশিট হয়ে গিয়েছে, তারা ভোটের আগে এলাকায় ঢুকবে, মিটিং করবে! আমাদের তা-ই মেনে নিতে হবে? আমরা কি মরে গিয়েছি?’
মহুয়ার কথায়, ‘আমি এগুলো বলি না, কোনও দিন বলি না। আজ বাধ্য হয়ে বলছি। যারা দলকে কালিমালিপ্ত করেছে, এরা ডাকাত, রঘু ডাকাত।’ নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সৈনিক দাবি করে মহুয়া জানান, দু-তিনটে চোর ডাকাতের জন্য সবাইকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।
নদীয়া জেলায় মহুয়ার সঙ্গে নেতৃত্বের একাংশের বিরোধ সুবিদিত। এনিয়ে কড়া বার্তাও দিতে হয়েছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তাতেও বিরোধ মেটেনি। মহুয়ার বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে দলেরই একটা অংশ। সেই অংশে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্যও। এদিন খানিকটা সেই কারণেই নাম না করে মানিককে মহুয়ার আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।