Madhyamik consequence 2025 | ভুট্টা খেতে কাজ করেও ৮৮ শতাংশ নম্বর, অর্থাভাবে অনিশ্চিত মণীশের আইআইটি যাত্রা    

Madhyamik consequence 2025 | ভুট্টা খেতে কাজ করেও ৮৮ শতাংশ নম্বর, অর্থাভাবে অনিশ্চিত মণীশের আইআইটি যাত্রা    

আন্তর্জাতিক INTERNATIONAL
Spread the love


রায়গঞ্জ: দেড় বিঘা জমিতে ভুট্টা আর পটল চাষ করেই চলে সংসার। সেই জমিতেই বেড়ে ওঠা মণীশ চন্দ্র রায় এবার মাধ্যমিকে ৬১৭ নম্বর পেয়ে নজর কাড়ল সবার। উত্তর দিনাজপুর জেলার বানবোল হাই স্কুলের এই ছাত্রের স্বপ্ন আইআইটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া। চাষির ছেলের এই স্বপ্নের পথে বাধা আর্থিক প্রতিকূলতা।

বাবা মৃদুল চন্দ্র রায় একজন কৃষিজীবী। মা ববিতা রায় গৃহবধূ। সংসারে উপার্জনের একমাত্র ভরসা ওই ছোট্ট জমির ফলন। মৃদুলবাবু বলছেন, “ছেলের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই, কিন্তু উপায় জানি না। যদি কেউ সাহায্য করেন, তবে হয়তো ওর স্বপ্নটা বাস্তব হবে।”

মণীশের প্রাপ্ত নম্বরও নজরকাড়া। সে বাংলায় পেয়েছে ৮০, ইংরেজিতে ৮৩, অঙ্কে ৯৩, পদার্থবিদ্যায় ৯৫, জীবনবিজ্ঞানে ৯৭, ইতিহাসে ৮২, ভূগোলে ৮৫। কঠোর পরিশ্রম আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরেই সে এই সাফল্য অর্জন করেছে। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ছাড়া তার ভরসা ছিল মাধ্যমিক পাস বাবার সহয়তা।

এদিন মাধ্যমিকের মার্কশিট নিয়েই সে দৌড়ে যায় ভুট্টার জমিতে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আগেই তাকে খেত থেকে ভুট্টা তুলতে হবে। সেই কাজ করতে করতে মণীশ জানায়, “আইআইটি-তে ভর্তি হয়ে ভালো ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। আমি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই, কিন্তু অর্থের চিন্তা আমার পরিবারকে চাপে ফেলেছে।”

প্রশাসন, সমাজ কিংবা কোনও সাহায্যকারী সংগঠন যদি এগিয়ে আসে, তাহলে হয়তো এই প্রতিভাবান ছাত্রের স্বপ্নও একদিন বাস্তব হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *