ঘরের দেয়ালে স্যাঁতসেঁতে ভাব দীর্ঘস্থায়ী হলে দেয়াল ফুলে যায়। যে কারণে দেয়ালের রং নষ্ট হয়। দেয়ালে দীর্ঘদিনের ড্যাম্পের সমস্যায় ঘরে মোল্ড বা ফাঙ্গাসও বাসা বাঁধে। ঘরের কর্নার, ছাদের সিলিং ও দরজা-জানালার আশপাশের জায়গাগুলোতে কালো ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়; দুর্গন্ধও হয়। এসব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়ি বা অফিসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থা বুঝে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে হয়।
ওয়াশরুম: বাড়ির অন্যান্য জায়গার চেয়ে ওয়াশরুমে আর্দ্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই ওয়াটারপ্রুফিং–ব্যবস্থা ভালো না থাকলে এখান থেকেই শুরু হতে পারে ফাঙ্গাসের বিস্তার। ওয়াশরুমে ওয়াটার কোটিং তাই খুব জরুরি। দেয়াল বা ফ্লোর সব জায়গায় ওয়াটারপ্রুফ গ্যাপ ফিলার বা সলিউশন জলের বিন্দু বিন্দু লিকেজ থেকে বাঁচায়।
ছাদ এবং পানির ট্যাংক: কড়া রোদ হোক আর মুষলধারে বৃষ্টি, বাইরের ঝড়-ঝাপটা, আবহাওয়ার ট্যাংক থেকে জল পড়া, ফাটল—সব ছাদের ওপর দিয়েই যায়। বছরের পর বছর চলতে থাকা এইভাবে চলতে থাকার কারণে ছাদের কার্নিশ আর কোণাগুলোকে দুর্বল করে দেয়। ছাদে জল প্রতিরোধী সুরক্ষা না থাকলে প্রতিনিয়ত জলের লিকেজ বেডরুম থেকে শুরু করে পুরো বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশনকেই দুর্বল করে ফেলে। এজন্য ওয়াটারপ্রুফ পলিমার বা সিমেন্ট ভালো করে ফাটলের লাইনে দিতে হবে।
অন্দর: ওয়াশরুম বা ছাদে ওয়াটারপ্রুফ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও অন্দরের দিকে তেমন একটা খেয়াল করা হয় না। ইন্টেরিয়র লিকেজ শুরু মানে পুরো ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট। সাধারণত বাথরুমের পাশের দেয়ালগুলো অন্দরের দেয়ালে ড্যামেজ তৈরি করে। ড্যাম্প দেয়ালের কারণে ঘরে বাজে গন্ধ হতে পারে, আসবাব নষ্ট হওয়ার জন্যও অনেক সময় দায়ী থাকে ড্যাম্প দেয়াল। তাই অন্দরে রং করার সময় রংটা ওয়াটারপ্রুফ কি না, খেয়াল রাখা উচিত।