শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: মাছ ধরতে ভিড় হচ্ছে জেলা পরিষদের পুকুরে। ফলে মুখ ফেরাচ্ছে পরিযায়ী পাখিরা। ক্ষুব্ধ পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে, পরিবেশপ্রেমীরা। সমস্যা সমাধানে পুকুরের গেটে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জেলা পরিষদ।
লাটাগুড়ির (Lataguri) কেন্দ্রস্থলে থাকা জেলা পরিষদের পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে আস্তানা গেড়েছে পরিযায়ী পাখির দল। জঙ্গলের বন্যপ্রাণীর পাশাপাশি এই পুকুরের পরিযায়ী পাখিরা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। স্থানীয়দের দাবি মেনে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম পর্যায়ে পুকুরের চারপাশ বাঁধাইয়ের পাশাপাশি পুকুরপাড়ের পাশে মুক্ত মঞ্চ ও একটি পাখি দেখার জন্য ওয়াচ টাওয়ার গড়ে তুলেছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলেও পর্যটকদের জন্য এখনও খোলা হয়নি এই পুকুর। দ্বিতীয় পর্যায়ে পুকুরটিকে ঘিরে আরও কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে জেলা পরিষদের। তারপরই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পুকুরটি।
তবে বেশকিছুদিন থেকেই এই পুকুরে একাংশ স্থানীয় বাসিন্দা প্রবেশ করে দিনভর জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন। ফলে পাখিদের ভিড় কমছিল। এতেই ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমী থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা। লাটাগুড়ির পরিবেশপ্রেমী অনির্বাণ মজুমদার বলেন, ‘মানুষের অসচেতনতার জন্য পাখিরা পুকুর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা মানা যায় না। প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ দরকার।’ লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেবের মন্তব্য, ‘এই পুকুরের চারপাশ ঘেরা রয়েছে। পুকুরে প্রবেশের গেটগুলিতে যাতে তালা মেরে রাখা হয় সেই দাবি জানানো হবে সংশ্লিষ্ট মহলে। পাশাপাশি, সচেতনতামূলক পোস্টার পুকুর পাড়ে লাগানোর চিন্তাভাবনা চলছে।’
জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ মহুয়া গোপ জানান, যতদিন না পুকুরটি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে, ততদিন যাতে পুকুরপাড়ের গেটে তালা মেরে রাখা যায় সেই চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, সামাজিক অনুষ্ঠানে জল ভরার জন্য এলাকাবাসীর যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য নির্দিষ্ট স্থানে চাবিও রাখা হবে বলে জানান তিনি।