শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: বনজঙ্গল ও বন্যপ্রাণী তো রয়েইছে। এবার লাটাগুড়িতে এসে ‘আকাশে হাঁটার’ সুযোগ মিলবে পর্যটকদের। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে অন্তত এমনটাই হতে চলেছে। লাটাগুড়ির কেন্দ্রস্থলে (Lataguri) থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুরকে ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তুলেছে জেলা পরিষদ। এবার পুকুরটিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে স্কাইওয়াক তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিষদ। ফলে লাটাগুড়ির পর্যটনে নতুন আশার আলো দেখছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
লাটাগুড়ির কেন্দ্রস্থলে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথের ঠিক উলটোদিকে জাতীয় সড়ক লাগোয়া কয়েক বিঘা জমির উপর রয়েছে লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পুকুর। দীর্ঘদিন থেকেই দাবি ছিল পুকুরটিকে সৌন্দর্যায়ন করে পর্যটকদের বিনোদনের জায়গা হিসেবে গড়ে তোলার। সময়ের দাবি মেনে আনুমানিক প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম পর্যায়ে পুকুরের চারপাশ বাঁধাইয়ের পাশাপাশি পুকুরপাড়ের পাশে মুক্তমঞ্চ ও একটি পাখি দেখার ওয়াচটাওয়ার গড়ে তুলেছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ। দ্বিতীয় পর্যায়ে এখানেই একটি মিউজিক্যাল ফোয়ারা, পর্যটকদের জন্য নৌকা বিহারের পাশাপাশি স্কাইওয়াক চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। প্রকৃতিপ্রেমী থেকে পর্যটক, সকলের কাছে আলাদা পরিচিতি রয়েছে লাটাগুড়ির। তবে লাটাগুড়ি বলতে জঙ্গল, জীবজন্তুর পাশাপাশি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনে করেন অনেকে। বিশেষ করে সারাদিন জঙ্গলে হইচই করে ঘুরে বন্যপ্রাণী দেখার পর সন্ধ্যার দিকে লাটাগুড়িতে পর্যটকদের জন্য তেমন বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যা নেমে আসতেই বিভিন্ন রিসর্টে ঘরবন্দি হয়ে থাকা ছিল পর্যটকদের একমাত্র উপায়।
তাই দীর্ঘদিন থেকেই দাবি ছিল, লাটাগুড়ির পুকুরটিকে সংস্কার করে পর্যটকদের জন্য উপযোগী করে তোলার। সেই দাবি মতন এই পুকুরটিকে সাজিয়ে তোলে জেলা পরিষদ। এবার এই পুকুরে নতুন পালক যুক্ত হতে চলেছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ মহুয়া গোপ বলেন, ‘পুকুরের পাশেই ঘন জঙ্গল। সমস্ত নিয়ম মেনে সেখান দিয়েই স্কাইওয়াক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বাস্তুকাররা গোটা বিষয়টি দেখেছেন। অর্থ মঞ্জুর হয়েছে প্রকল্পের জন্য। শীঘ্রই কাজটি চালু হবে।’ জেলা পরিষদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলছেন, ‘লাটাগুড়িতে স্কাইওয়াক চালু হলে পর্যটকরা নতুন কিছু উপভোগ করতে পারবেন।’ দ্রুত যাতে কাজটি চালু হয় সেই দাবিও তুলেছেন তিনি।