বিশ্বজিৎ প্রামাণিক, কুমারগঞ্জ: কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির চেয়ার বেদখল। বসে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড় (যদিও উত্তরবঙ্গ সংবাদ ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। সমালোচনা ঝড় বইতে শুরু করেছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সাবের আলি সরকারের চেয়ারে বসে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী সৈয়দ শাহ। ঘন নীল রংয়ের গোল গলা টি শার্ট। টেবিলের সামনে নেম স্ট্যান্ড। সেখানে বড় হরফে লেখা সহ সভাপতি, কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, প্রশাসনিক কাঠামোর প্রতি শাসকদলের কোনও শ্রদ্ধাভক্তি নেই। এটা ভয়ংকর বিপদের কথা।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী এই ঘটনাকে প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন। ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ করেছে সিপিএম নেতা মোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটাই হচ্ছে তৃণমূলের সংস্কৃতি। প্রশাসন এবং দল এখন এক হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত, পুরসভা, পঞ্চায়েত সমিতি সব জায়গায় দল আর প্রশাসন মিলেমিশে একাকার।’
এই প্রসঙ্গে সহ সভাপতি সাবের আলি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম না। পরে জানতে পারি এক ব্যক্তি আমার চেয়ারে বসে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে। ওকে চিনি না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাকের বলেন, ‘প্রশাসনিক চেয়ারে এইভাবে কেউ বসতে পারেন না। যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তার নিন্দা করি।’