কালচিনি: এ যেন মেঘ না চাইতেই জল! মঙ্গলবার গভীর রাতে হাতি তাড়াতে বের হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তবে তাঁদের হাতে ধরা পড়ল ছাগল চোরের দল। একজন কোনওক্রমে পালিয়ে বাঁচলেও অপর ৩ জনকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলেন। এরপর তাদের উত্তম-মধ্যম দিয়ে গাছে বেঁধে রাখা হয়। পরে কালচিনি থানায় খবর দিলে পুলিশ ৩ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পালিয়ে যাওয়া অপর অভিযুক্তকেও পরে পুলিশ পাকড়াও করে।
কালচিনি থানার ওসি গৌরব হাঁসদা বলেন, ‘ধৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহাদেব রায়, তন্ময় রায়, রাহুল শা ও জ্যাকব ওরাওঁ। প্রথম তিন অভিযুক্তের বাড়ি হ্যামিল্টনগঞ্জের নেতাজিপল্লি এলাকায়। আর জ্যাকব লতাবাড়ির বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ দুটি ভোজালি ও দুটি ছাগল উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি যে ছোটগাড়ি করে অভিযুক্তরা ছাগল চুরি করতে এসেছিল, সেটিও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীরজাভর টোপ্পো বলেন, ‘কয়েক মাস আগেও কয়েকজন গ্রামবাসীর গোরু ও ছাগল চুরি হয়েছে। আমাদের মনে হচ্ছে ওই দুষ্কৃতীরাই সেগুলো চুরি করেছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটা নাগাদ স্থানীয় চার্চলাইনে গ্রামে হাতি প্রবেশ করে। গ্রামবাসীরা হাতি তাড়াতে বাড়ি থেকে বের হন। তখন তাঁরা গ্রামীণ রাস্তায় কাঁদায় ফেসে যাওয়া একটি ছোট গাড়ি দেখতে পান। এগিয়ে যেতেই অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। সেসময় ছোটগাড়িতে দুটি ছাগল দেখতে পান তাঁরা। গাড়ির সিটে দুটি ভোজালিও রাখা ছিল। এরপরেই গ্রামবাসীদের সন্দেহ বাড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা ভাদোয়া তিরকি লক্ষ করেন, তাঁর বাড়ির খামারে দুটি বড় ছাগল নেই। সেই ছাগল দুটিকেই তিনি গাড়ির ভেতর দেখতে পান। এরপরই স্থানীয়রা গাড়িটিকে ঘিরে অভিযুক্তদের ধরে ফেলেন। উত্তেজিত জনতা গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলে। ভাদোয়া বলেন, ‘অভিযুক্তদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এরপর যাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পুলিশকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ধৃতরা ছিঁচকে চোর বলেই পুলিশের দাবি।