লাহোর: আফগান গাঁটে আবারও আটকে গেল ইংল্যান্ড। যে ব্যর্থতার হাত ধরে গ্রুপ লিগেই বিদায় বাকি বিশ্বকে ক্রিকেট শেখানো দেশের। ম্যাচের শেষ বলের পর চোখে জল জো রুটের। হতাশার ছাপ অধিনায়ক জস বাটলারের চোখেমুখে।
ব্যর্থতার কারণ হাতড়ে বেড়ানো। যে পর্যালোচনায় অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত বাটলারের। নেতৃত্ব উপভোগ করেন। করছেনও। তবে অধিনায়ক হিসেবে তিনি দলের সমস্যা নাকি সমাধান, সেই প্রশ্নটাও মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যে বক্তব্যের পরই বিতর্ক তুঙ্গে, নেতৃত্ব থেকে কি সরছেন বাটলার?
নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বাটলার বলেছেন, ‘এখনই কিছু বলা কঠিন। আবেগতাড়িত হয়ে কোনও বিবৃতি এই মুহূর্তে দিতে চাই না। সবদিক খতিয়ে দেখে যা আমার সঠিক মনে হবে সেটাই করব। নেতৃত্ব উপভোগ করি সবসময়। অনেকে এনিয়ে প্রশ্ন তুললেও চ্যালেঞ্জ উপভোগ করছি।’
এখানে থেমে থাকেননি বাটলার। ইঙ্গিতপূর্ণ সংযোজন, ‘হার কখনও মেনে নিতে পারি না। যখন প্রত্যাশিত ফলাফল হয় না, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি দলের সমস্যা তৈরি করছি নাকি সমাধানের অংশীদার? ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করি।’
২০২২ টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর আইসিসি টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ড ফ্লপ। ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের পর ব্যর্থতার তালিকায় চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাজবলে চমকে দিলেও লাল বলের ফর্ম্যাটেও টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্সের ফাইনালে উঠতে পারেনি একবারও।
সুনীল গাভাসকার যে ব্যর্থতার জন্য ইংল্যান্ডের মানসিকতাকেই দূষছেন। দাবি, অজুহাত খোঁজার বদলে নিজেদের খেলা, মানসিকতা বদলাক ইংল্যান্ড। নাহলে সাফল্যের ট্র্যাকে ফেরা মুশকিল বাটলারদের।
গাভাসকারের কটাক্ষ, ইংল্যান্ড ভাবে ওরা হারতে পারে না। আর হারলেই হাজারো অজুহাত খুঁজতে বসে পড়ে। নিজেরা ভালো খেলতে পারেনি বা প্রতিপক্ষ ভালো টেক্কা দিয়েছে, তা মানতে নারাজ। যতরকম অজুহাত দেওয়া সম্ভব, তা খুঁজতেই ব্যস্ত থাকে।
প্রাক্তন ওপেনারের অভিযোগ, ভারতের এক মাঠে খেলা নিয়ে বাজার গরম করেছেন বাটলাররা। কেন তাঁরা একই সুযোগ পাচ্ছেন না সেই প্রশ্ন তুলেছেন। মোদ্দা কথা অজুহাত চাই-ই। আইসিসি যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন সেখানে ইংল্যান্ড বোর্ডের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি তখন প্রশ্ন তোলেননি কেন?
আক্রম যে প্রসঙ্গে গাভাসকারকে সমর্থন করে বলেছেন, ‘আমাদের দুই ভালো বন্ধু মাইকেল আথারটন ও নাসের হুসেনকে এই প্রশ্ন তুলতে দেখছি। ভারত শুধু দুবাইয়ে খেলবে, টুর্নামেন্টের আগেই ঠিক হয়ে যায়। তখনই বলা উচিত ছিল ওদের, এখন নয়।’