নয়াদিল্লি: ইংল্যান্ড-২ ভারত-১। প্রথম তিন টেস্টের পর সিরিজের স্কোরলাইন। সিরিজ জিততে হলে বাকি দুই ম্যাচে জেতা ছাড়া রাস্তা নেই ভারতের। বেন স্টোকসরা সেখানে শেষ দুইয়ের একটা জিতলেই অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকার ট্রফির দখল নেবেন।
এহেন পরিস্থিতিতে ওল্ড ট্রাফোর্ড ও ওভালের শেষ দুই টেস্টে জসপ্রীত বুমরাহকে খেলানোর পরামর্শ দিলেন অনিল কুম্বলে। প্রাক্তন অধিনায়ক তথা হেডকোচের মতে, ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত, বুমরাহর খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করা। তিনি দায়িত্বে থাকলে এটাই করতেন।
কুম্বলে বলেছেন, ‘শেষ দুই ম্যাচে বুমরাহর খেলা গুরুত্বপূর্ণ। জিততে হলে ওর থাকা জরুরি। নাহলে সিরিজ জয়ের আশা শেষ। ভারতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টে থাকলে আমি বুমরাহর খেলা নিশ্চিত করতাম। পাশাপাশি বুমরাহরও উচিত দুটি টেস্টেই খেলা। জানি, ও বলেছে সফরে তিনটি টেস্ট খেলবে। তবে এই সিরিজের পর তো লম্বা ছুটি রয়েছে। প্রয়োজনে ঘরের সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিক।’
ইরফান পাঠান আবার অন্য একটা বিতর্ক উসকে দিয়েছেন। প্রাক্তন পেস অলরাউন্ডারের মতে, ওয়ার্কলোডের যুক্তি দেখিয়ে, বুমরাহকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, তার যৌক্তিকতা তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। দাবি, চোট থেকে ফেরা জোফ্রা আর্চার, চোটপ্রবণ বেন স্টোকসরা যে চাপটা নিয়েছে, তার থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল ভারতের।
ইরফান বলেছেন, ‘পঞ্চম দিনের সকালে স্টোকস ৯.২ ওভারের লম্বা স্পেল করেছে। ব্যাটিং করেছে লম্বা সময়। বোলিংয়ের পাশাপাশি ঋষভ পন্থের গুরুত্বপূর্ণ রানআউট। অসাধারণ ক্রিকেটার। কিন্তু কখনও ওয়ার্কলোড নিয়ে মাথা খারাপ করতে দেখিনি। সেখানে ভারত? বুমরাহকে ৫ ওভার বল করিয়ে অপেক্ষা করেছে রুটের জন্য! ওয়ার্কলোডের কারণে দ্বিতীয় টেস্টে খেলেনি বুমরাহ। তাহলে বিশ্রাম নিয়ে যখন লর্ডসে খেলছে, সেখানে ওয়ার্কলোড ইস্যু হবে কেন?’
আর্চারের কথা টেনে ইরফান আরও বলেছেন, ‘চার বছরের বেশি সময় পর টেস্টে ফিরেছে। তারপরও অসম্ভব ধকল নিল। সকালের স্পেলে ৬ ওভার। তারপরও একাধিক স্পেল। স্টোকসকে দেখিনি ওয়ার্কলোড নিয়ে মাথা খারাপ করতে। ৯ ওভার টানা বল করল। আমার ধারণা বুমরাহর ওয়ার্কলোড নিয়ে অতিরিক্ত মাথা খারাপ করা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে।’