ISL 2025 | এবার যুবভারতীর দখল চায় বেঙ্গালুরু, দ্বিমুকুট জিততে মরিয়া মোহনবাগান

ISL 2025 | এবার যুবভারতীর দখল চায় বেঙ্গালুরু, দ্বিমুকুট জিততে মরিয়া মোহনবাগান

ব্লগ/BLOG
Spread the love


সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতাঃ রিয়াল মাদ্রিদ না বার্সেলোনা? লা লিগার সেরা দল কোনটা?

প্রশ্নটা যদি একেবারে স্পেন থেকে একেবারে ভারতবর্ষে এনে ফেলা হয়? তাহলে উত্তরটা কী হবে? মোহনবাগান সুপার জায়েন্ট নাকি বেঙ্গালুরু এফসি?

সুনীল ছেত্রী থাকলে জবাবটা দিয়েই দিতেন। গুরপ্রীত সিং সান্ধু বা শুভাশিস বসুর তবু কিছুটা ধারণা আছে, কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো সাহস তাঁদের আছে কিনা সন্দেহ। কিন্তু দুই কোচই সম্ভবত জানেন না বেঙ্গালুরুর জন্মলগ্ন থেকেই কী পরিমাণ আকচা-আকচি তাদের সঙ্গে মোহনবাগানের! সে আই লিগ হোক কী আইএসএল! তাই তাঁদের কাছে বাড়তি গুরুত্ব তেমন নেই। অবশ্যই ফাইনাল এবং এই শেষ লড়াই জিততে মরিয়া দুই পক্ষই। মোহনবাগানের সামনে আইএসএলের দ্বিতীয় দল হিসাবে শিল্ডের পর কাপ জিতে ‘ডাবল’-এর হাতছানি। মুম্বই সিটি এফসিকে ছুঁয়ে ফেলা যাবে এই লড়াই জিতলে। সেখানে বেঙ্গালুরু এফসি কাছে বদলার ম্যাচ। ২০২২-’২৩ মরশুমে এগিয়ে থেকেও শেষপর্যন্ত ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিতে তো মাঠে নামবেন গুরপ্রীতরা। সঙ্গে বহুকাল দেশের সর্বোচ্চ লিগ না পাওয়ার যন্ত্রণাকে মুছে ফেলার ম্যাচ তাঁদের কাছে! দুই দলের সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের গুরুত্ব একটা কাপ দিয়ে মাপা যাবে না। তাঁদের কাছে ম্যাচটা সত্যিই এল ক্লাসিকো। যা না জিতলে সেই ২০১৩ থেকেই আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। সেসময় আই লিগ একবার বেঙ্গালুরু জিতলে পরেরবারটা তোলা থাকত মোহনবাগানের জন্য। আইএসএলের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে দুই দলই ফাইনাল খেলেছে চারবার।  যার মধ্যে একবার কাপ জয়ী ও দুইবার রানার্স মোহনবাগান। এবার দ্বিমুকুট জিতলে ইতিহাসের পাতায় নাম থেকে যাবে চিরকালের মতো।

ঘরের মাঠে এবার মোহনবাগানের রেকর্ড রীতিমতো ঈর্ষণীয়। এখনও পর্যন্ত মোট ১৪টা ম্যাচে জয়। এই জয়ের পথে দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকার কথা বারবার স্বীকার করেছে সবুজ-মেরুন শিবির। িনজেদের শহরে দাপট দেখালেও এখানে এসে ওই ‘দ্বাদশ ব্যক্তি’-কে সামাল দিতে পারেনি এফসি গোয়া-বেঙ্গালুরুর মতো দল। তবু মুখে স্বীকার করার কথা নয় বলেই সম্ভবত জেরার্ড জারাগোজা বলেছেন, ‘গ্রুপ লিগে এক নম্বর দল বলে মোহনবাগান নিজেদের মাঠে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এটা ওদের অ্যাডভান্টেজ। আমাদের সমর্থকরাও ফাইনালে আসবে। পরিসংখ্যান ধরলে এই মরশুমে চারবারের মধ্যে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের এটা তৃতীয় সাক্ষাৎ। ডুরান্ডের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ও আইএসএলের দ্বিতীয় দফায় হারি। এবার দেখাই যাক না কী হয়!’  সঙ্গে আরও জুড়ে দেন, ‘১০ বছরে চারটি ফাইনাল, বড় কম কথা নয়। আমাদেরও সুনীল-গুরপ্রীত, ভালো বিদেশিরা আছে।’

তুলনায় হোসে ফ্রান্সিসকো মোলিনাকে একটু বেপরোয়া লাগে। গতবার মোহনবাগান শিল্ড জয়ের পর ফাইনালে উঠে কাপ জিততে পারেনি। এবার সতর্কতা অবলম্বন করছেন কিনা প্রশ্ন করলে মোলিনার জবাব, ‘কেন ভাববো? আমি ছিলাম না সেসময়। আমি চেষ্টা করব। ছেলেদের পরিশ্রম ও মানসিকতার উপর আমার আস্থা আছে। কাপ জয়ের জন্য যা যা করা দরকার, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ওরা করবে।’ এই শেষমুহূর্তটাই শেষপর্যন্তটা নাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়! দুই দলের খেলাতেই েশষপর্যন্ত হার না মানা মনোভাব নজরে পড়েেছ। যার জোরেই দুই দল ফাইনালে। তবে এই শেষমুহূর্তের গোলের ব্যাপারে মোলিনার অস্ত্রের ধার বোধহয় একটু বেশি। চোট-আঘাত সারিয়ে দলের সবাই ফিট। অনুশীলনে চনমনে লেগেছে গোটা দলকে। বাড়তি তেজ এবার সমর্থকদের মধ্যেও। তাই এদিন ‘কাপ চ্যাম্পিয়ন’ লেখা টি-শার্ট বিকোচ্ছে দেদার। টিকিটের চাহিদা হাহাকারের পর্যায়ে চলে গেছে। বেঙ্গালুরুর হোলিচরণ নার্জারি নেই, ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন আছে সুরেশ সিং ওয়াংজাম ও রাহুল ভেকের।

সমস্যা যাই থাক না কেন, এই ম্যাচের উচ্চতা উপলব্ধি করেই এর ফায়দা তুলতে চাইছে এফএসডিএল। স্টেডিয়াম জুড়ে চলেছে এদিন শেষমুহূর্তের সাজগোজ। মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু যখন মাঠে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরতে মরিয়া, তখন মাঠের বাইরে ফাঁক না রাখতে বদ্ধপরিকর এফএসডিএল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *